সেন্টমার্টিনস দ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখতে যেসব কাজ করা যায়

২৯৫ পঠিত ... ১৪:২৭, মার্চ ১৮, ২০২৩

Saint-martin

গবেষণা থেকে জানা যায়, ১৯৮০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরে সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে প্রবাল প্রজাতি ১৪১টি থেকে কমে ৪০টিতে নেমেছে। বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা সাড়ে চার বর্গকিলোমিটার থেকে কমে নেমেছে তিন বর্গকিলোমিটারে। আন্তর্জাতিক ওশান সায়েন্স জার্নালে ২০২০ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, ২০৪৫ সালের মধ্যে দ্বীপটি পুরোপুরি প্রবালশূন্য হতে পারে।

 

প্রবাল দ্বীপকে প্রবালশূন্য হওয়া থেকে বাঁচাতে আমরা কী করছি? পুরো দ্বীপ জুড়ে রিসোর্ট, রেস্তোঁরা আর হোটেল বানাচ্ছি। আসুন জেনে নেই, এছাড়াও আরও কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি আমরা আমাদের সেন্ট মার্টিনকে বাঁচাতে।

 

১# সেন্টমার্টিনের মতো একটি দ্বীপে কেয়াবন কেন থাকবে? সব কেয়াবন উজাড় করে সেখানে কাবাব হাউজ করা যেতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে দ্বীপে যত বেশি কেয়াবন সে দ্বীপ তত বেশি পরিবেশ ঝুঁকিতে থাকে।

 

২# ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৮ আল পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রবাল প্রজাতি ১৪১টি থেকে ৪০টিতে নেমে এসেছে। এই সংখ্যাকে আরও কমানো যায়। ক্ষতিকর এইসব প্রবাল প্রজাতির সংখ্যা ৫ এর নিচে নামিয়ে আনতে পারলে সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই।

 

৩# সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা বেশ কমে এসেছে। দারুণ সুখবর। বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ আগে ছিলো সাড়ে চার বর্গকিলোমিটার, এখন সেটা নেমে এসেছে প্রায় তিন বর্গকিলোমিটারে। এই সংখ্যাকে আরও কমিয়ে আনতে হবে। বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমিয়ে সেখানে প্লাস্টিকের গাছ লাগানো যেতে পারে।

 

৪# সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে এখনও পর্যন্ত কটেজ, রেস্তোঁরা, রিসোর্ট ও হোটেল মিলিয়ে ২৩০টিরও বেশি স্থাপনা রয়েছে। ৩০টির মতো স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। এই সংখ্যাকে আরও বাড়ানো যায়। সমুদ্রের কিছু অংশ ভরাট করে সেখানেও রিসোর্ট বানানোর সম্ভাবনা যাচাই করা যেতে পারে। এতে সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে আরও কয়েকগুণ।    

 

৫# সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে কচ্ছপরা ডিম পাড়তে আসে। এজন্যই হয়তো দ্বীপটি দিনদিন মরে যাচ্ছে। কচ্ছপ কেন সেন্ট মার্টিনসে ডিম পাড়বে? সেন্ট মার্টিনস কি ওদের বাপের? এইসব কুচক্রি কচ্ছপদের সামলাতে হবে। খুশির কথা হলো, গভীর রাত পর্যন্ত কচ্ছপের ডিম পাড়া এলাকায় আলোকসজ্জা করে, হইচই করে ও জেনারেটরের বিকট শব্দ তৈরি করে এইসব কচ্ছপদের ইতোমধ্যে ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন আর তারা ডিম পাড়তে আসে না। এই সাফল্যকে ধরে রাখতে হবে। নিয়মিত আরও বেশি বেশি দূষণ ঘটিয়ে কচ্ছপদেরকে এলাকা ছাড়া করা যায়। এছাড়া সেন্ট মার্টিনকে রক্ষা করার আর কোন উপায় নেই।

২৯৫ পঠিত ... ১৪:২৭, মার্চ ১৮, ২০২৩

Top