ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে চান বুয়ারা, থালাবাসন ধোয়া কাপড় কাচা সারতে চান অনলাইনে

২৫৯ পঠিত ... ২০:০৭, জুলাই ১৪, ২০২০

করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অনেক কর্মজীবী মানুষ ও প্রতিষ্ঠানই ওয়ার্ক ফ্রম হোম মডেলে কাজ করছেন। তবে করোনার শুরু থেকেই বুয়ারা এই মডেলে কাজ না করতে না পারায় কর্মক্ষেত্রে তাদের অভাব বেশ ভালোভাবে লক্ষ করা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' মডেলে কাজে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বুয়া সমাজ। যেসব বুয়াদেরকে ইতোমধ্যে স্বশরীরে কাজে ফেরার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে, তারা এই মুহূর্তেই 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' মডেলে কাজে ফিরতে রাজি আছেন।

'বাসন-কোসন সায়েন্স উইথ বুয়া' শীর্ষক এক জুম মিটিংয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম মডেলের একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সপ্তাহে ৬ কর্মদিবসের নিয়ম রাখেন তারা। গৃহস্থদের জন্য সভায় প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে দুপুরের রান্নার পদ বলে দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। ১১টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বুয়া কর্তৃক রন্ধনপ্রণালী ও উপকরণ পাঠিয়ে দেয়ার নিয়মও রাখা হয়। এ বিষয়ে ছুটা বুয়াদের সভাপতি ময়মনসিংহের রাজিয়া খালা বলেন, 'কী খাইবেন তা ১০টার ভিত্রে না কইলে কইলাম কাম করুম না ভাইজান! পরে আমাগোরে কিছু কইতে পারবেন না।'

সকালের নাস্তার জন্য আগেরদিন রাতে ও রাতের খাবারের জন্য বিকেলের মধ্যে প্রক্রিয়া জানিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়।

তবে ছুটা বুয়া সমাজের অন্য এক প্রতিনিধি বলেন, 'একজন ছুটা বুয়ার আন্ডারে যে কয়জন রান্না করাইবেন সবাই একই পদ খাইতে হইবো। সবার জন্য আলাদা রান্নার টিপস দিতে পারবো না। সবাই নিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিলেই দ্রুত প্রক্রিয়া পাঠাইয়া দিমু আমরা।'

বাসন কোসন ধোয়ার ব্যাপারে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' মডেলেই বাসা থেকে দিক-নির্দেশনা দিবেন বুয়ারা। এমনই একজন বলেন, 'এতদিন তো ধুইছেনই। ভুল টুল কইরা বহুত ঝামেলা পাকাইছেন তাও জানি। টেনশনের কিছু নাই, ভিডিও কলে দেহাইয়া দিমু ক্যামনে কী করবেন। ভুলগুলাও শোধরাইয়া দিমু।'

তবে রেগুলার বেতন ভাতার পাশাপাশি জুম মিটিংয়ের মেইনটেইনেন্স ফি বাবদ আলাদা টাকাও নির্ধারণ করেছে বুয়া সোসাইটি। সেই টাকা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সাম্প্রতিক জুম মিটিং কস্টকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়েছে।

২৫৯ পঠিত ... ২০:০৭, জুলাই ১৪, ২০২০

Top