ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করলো কর্তৃপক্ষ

৮১০ পঠিত ... ১৪:১৫, জুলাই ০২, ২০২০

একটু বৃষ্টির আশায় হাহাকার করা ময়মনসিংহবাসীর জন্য কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করেছে ময়মনসিংহ রেল স্টেশন। রৌদ্রজ্জ্বল দিনে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে হাঁটতে থাকা যাত্রীদের শরীরে হুট করে পানির ঝাপটা আসায় এমনটাই ভাবছেন অনেকে।

 কাঠফাটা রোদ থেকে যাত্রীদের একটু স্বস্তির জন্য স্টেশনে মানবমোটরের সাহায্যে কৃত্রিম বৃষ্টি ছেটানো হচ্ছে।

অনেকে এই কাঠফাটা গরমে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের সাধুবাদ জানিয়ে কিছু ফিডব্যাকও দিয়েছেন। এমনই একজন বললেন, আইডিয়াটা দারুণ। তবে বৃষ্টি মাঝে মাঝে প্লাটফর্মের ভেতরে পড়ে যাচ্ছে, এই বিষয়টা খেয়াল করা উচিত। তাছাড়া এই কৃত্রিম বৃষ্টির পানি সম্ভবত ঠিকঠাক পিউরিফাই করা হচ্ছে না। কিসের যেন একটা গন্ধ লাগছে।'

মাথায় প্রচুর বৃষ্টির ছাট লেগে একেবারে ভিজে যাওয়া একজন প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাইলেন পার্থ বড়ুয়ার গান, 'বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি, করেছি কত আর্তনাদ...'

এই অসাধারণ উদ্যোগের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, প্লাটফর্মের ছাদের উপর বেশ কিছু মানব মোটর স্থাপনের মাধ্যমে ময়মনসিংহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করেছে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের একজনের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে জানান আমাদের। তবে এটি একটি মহতী উদ্যোগ ও তার বক্তব্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হবে জানার পরে হারিয়ে যাওয়া মেমোরি ফিরে পেয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা চেয়েছি স্ট্রশনের ভীড়ভাট্টা থেকে যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত হিসেবে বৃষ্টির প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোবাসাও আছে।'

এমন মহতী উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রম দেয়া ছাদে অবস্থানরত মানব মোটরদের সাথেও কথা বলতে যাই আমরা। আমাদের সাংবাদিক পরিচয়ে একটি মানব মোটর কাজ বন্ধ করে হন্তদন্ত হয়ে চলে যেতে যেতে বলেন, 'ভাই, চাপ ছিলো। নিচে নামলে ট্রেনের ছাদ মিস করতে পারি। প্লিজ আমার ফডো নেডে ছাইড়া দিয়েন না।'

ময়মনসিংহে একটা কুমিল্লা নাই বলেই আজ এমন কাজ করছেন বলেও জানান এই মানবমোটর। তিনি বলেন, 'আমাদের এখানে একটা কুমিল্লা হয়ে গেলে বেশ ভালো হইতো। ছাদে উইঠা আর এভাবে কাম করা লাগতো না।'

৮১০ পঠিত ... ১৪:১৫, জুলাই ০২, ২০২০

Top