ডিশলাইনে নেটফ্লিক্স না আসায় রাগে-ক্ষোভে নিজের সাধের এলইডি টিভি ভেঙে চুরমার করে ফেললেন কুমিল্লার কুদ্দুস। ভাঙচুরের শব্দে পাশের পাঁচতলা ভবনটি কেঁপে ওঠে। ভয়ে ভবনের মানুষ নিচে নেমে আসে। চারিদিকে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। অগত্যা পুলিশ এসে এলাকাটিকে লকডাউন ঘোষণা করে।
কুমিল্লার এক কেজি নকল মাতৃভান্ডারের দই নিয়ে আমরা সঙবাদ সংগ্রহ করতে যাই। লকডাউন থাকায় দায়িত্বরত দারোয়ানকে একটা বেনসন ঘুষ দিয়ে ভেতরে কুদ্দুস মিয়ার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, একটি সুন্দর ৫১ ইঞ্চি টিভি চুরমার হয়ে পড়ে আছে। টিভি ভাঙলেন কেন জিজ্ঞেস করতেই তিনি ক্ষেপে যান। ভাঙা টিভিটাকেই কষে লাথি মেরে বলেন, 'ওই শালারপুত টিভি, তোরে এলাকার সবচেয়ে টপ ব্রান্ডেড ডিশলাইন এনে দেই নাই? কী দেই নাই তোরে? কারেন্ট গেলে যেন সমস্যা না হয় তাই জেনারেটর নিছি। বিনিময়ে তোর কাছে কী চাইছো আমি? সামান্য নেটফ্লিক্স। তুই সেটাও দেখাতে পারলি না।'
এ পর্যায়ে তিনি আরও একবার ভাঙা টিভিতে কষে লাথি মারেন।
মাথা হালকা ঠান্ডা হলে তিনি বলেন, 'দেখেন ভাই, নেটফ্লিক্স নাই বলে ফেসবুকে ঢুকতে পারি না। মানসম্মান চলে যায় যায় অবস্থা। নেটফ্লিক্স দেখে মানুষ পোস্ট দেয়। এই সিনেমা, সেই সিরিজ, কত কিছু। আর আমার টিভিটারে দেখেন। ওরে চালাইতে কি আমি ঘাস খাওয়াই? ও আমারে নেটফ্লিক্স দেখাবে না ক্যা?'
এরপর তিনি আবারও ভাঙা টিভিতে লাথি মারতে উদ্যত হলে আমাদের প্রতিবেদক তাকে থামিয়ে বলেন, 'কিন্তু ভাই আপনার ডিশের লাইনে নেটফ্লিক্স আসে না, এইটা তো টিভির দোষ না। আপনি ডিশের লোকদের অফিস না ভেঙে টিভি ভাঙতেছেন কেন?' উত্তরে ভদ্রলোক জানান, 'ডিশের ওইখানে ফোন দিছিলাম। বলছে আপনার টিভি অন-অফ করেন, চইলা আসবে। এরপর কয়েকশবার অন-অফ করার পরও আসে নাই, এরপরই তো ভাঙচুর করছি।'
নেটফ্লিক্স আসলে ডিশে দেখা যায় না, ইন্টারনেটে দেখতে হয়, এমনটা জানানো হলে লোকটি কিছুক্ষণ মাথা চুলকে ভাঙা টিভি ঠিক করতে পারে এমন সারাইয়ের দোকানের খোঁজ জানতে চান।
এদিকে পৃথক আরেকটি ঘটনায় জানা যায়, নোয়াখালীর এক লোক ফ্লেক্সিলোডের দোকানে ভয়ানক ভাঙচুর চালিয়েছেন। ভদ্রলোক ফ্লেক্সিলোডের দোকানে নেটফ্লিক্স একাউন্ট খুলতে গিয়েছিলেন। না পাওয়ার ক্ষোভেই তিনি চালান এমন ভাংচুর।
