পরিচিত কারো ডিভোর্স হয়ে গেলে আপনার ১০টি করণীয়

৪৩৮৪ পঠিত ... ২২:৫৮, জুলাই ২৫, ২০২০

যার বিয়ে তার খবর না থাকলেও পাড়াপড়শির ঘুম হারাম হয়ে যায়। সেখানে ডিভোর্স তো আরও বড় ব্যাপার। আপনি যদি সেই পাড়াপড়শি বা পরিচিত ব্যক্তি হন, তাহলে অবশ্যই আপনার কিছু করণীয় আছে। এক নজরে দেখে নিন, পরিচিত কোনো দম্পতির ডিভোর্স হওয়ার খবর জানতে পারলে আপনার কী কী কাজ করা উচিত।

১# প্রথমেই ওই ব্যক্তির বাবা-মাকে বলুন প্লাস্টিক সার্জারি করে ফেলতে। সন্তানের ডিভোর্স হয়ে গেছে, এই মুখ তো তারা কাউকে দেখাতে পারবে না। এমনকি আপনিও দেখতে চাইবেন না।

২# ভবিষ্যৎ পড়তে পারার আপনার যে স্কিল, সেটার কথা আবারো সবাইকে মনে করি দিন। বলুন, আমি তো আগেই বলছিলাম, এই ছেলে-মেয়েকে দিয়ে সংসার হবে না। কে কতদিন সংসার করতে পারবে কে পারবে না এ ব্যাপারে আপনার অনুমান কত অ্যাকুরেট কাজ করে, সেসব পরিসংখ্যানও দেখাবেন।

৩# মেয়ের কয়টা পরকীয়া ছিলো, হাতে সময় থাকলে এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালান। অবশ্য অনুসন্ধান চালিয়ে সময় লস না করে বলে দিন, মেয়ের পরকীয়া ছিলো। বলতে পারেন, 'ওই ছেলের সাথে ভেগে যাওয়ার পরই তো জামাই ডিভোর্স দিছে'। আর ছেলের ক্ষেত্রে অবশ্যই তার যৌন অক্ষমতার কথা প্রচার করতে ভুলে যাবেন না।

৪# মেয়েটার জন্য ৫ বাচ্চার বাবা, ৭২ বছর বয়স্ক আপনার বিপত্মীক চাচার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসুন। 'এই কাজ করে আপনি যে মেয়েটাকে মাঝসমুদ্র থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করতেছেন' এমন একটা ভাব নিন।

৫# সন্তান থাকার পরও যদি কেউ ডিভোর্স নেয়, তাহলে মনে করে তাদের পাষাণ, জানোয়ার এসব বলতে ভুলবেন না। তাদের সন্তানের উপর নিশ্চয়ই আপনার দরদ বেশি, সুতরাং তাদের সন্তানগুলো যে দুয়েকদিন পর মারা যাবে-তাও মনে করিয়ে দিন। সন্তানগুলোর কষ্টে জামাইটার কাছে পারলে আপনিই বিয়ে বসতে চান- এমন সিম্পেথিও দেখাতে পারেন।

৬# 'আত্মীয় স্বজনের মধ্যে একজন ডিভোর্সড থাকায় আপনাদের সন্তানদের কেউ বিয়ে করছে না' প্রতিদিন দুইবার করে এ বিষয়গুলো ডিভোর্সড ব্যক্তির পরিবারকে বলতে থাকুক। এমনকি আপনি তাদের খালার ননদের দেবরের শালীর শাশুড়ি টাইপ ক্লোজ হলেও।

৭# 'সন্তানকে ডিভোর্স থেকে ফেরাতে না পারার দোষটা আসলে বাবা-মায়ের। কেমন বাবা-মা তারা? একটু কষ্ট সহ্য করে সন্তানকে সংসার টিকিয়ে রাখার পরামর্শ দিলো না!' আত্মীয় পাড়ায় এই ধরণের নানাবিধ ইনভেস্টিগেশন ছড়াতে থাকুন।

৮# সন্তানের ডিভোর্সে যদি তাদের পরিবারের সম্মতি থাকে, তাহলে তো আপনার জন্য একেবারে পৌষ মাস। মা যে আসল শয়তান, বাবা যে একটা বলদ লোক, ভাইগুলা যে এক একটা বেয়াদব, ওদের আসলে পারিবারিক শিক্ষার অভাব- এই ধরনের তথ্যও আত্মীয়পাড়ার কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন।

৯# মেয়ের মায়ের কাছে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে 'ডিভোর্সি মেয়ের জন্য ঘরে থাকা ছোট মেয়েটার বিয়ে দিতে পারবে না' শীর্ষক টেনশন করুন। এই টেনশনটা অবশ্যই মেয়ে ও মা দুজনকেই জানিয়ে করবেন! শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে এটুকু দায়িত্ব পালন না করলে কেমনে কি!

১০# আপনার ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়া, ডায়বেটিস বেড়ে যাওয়া, মাঝরাতে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাওয়া, বাহুবলীকে কাটাপ্পা মেরে ফেলা সব যে আত্মীয়ের মধ্যে থাকা ওই ডিভোর্সি পাপীটার পাপের ফল তা প্রচার করুন। যেভাবেই হোক বিষয়গুলো ডিভোর্সড ব্যক্তির কান পর্যন্ত পৌঁছাতেই হবে। এমনকি যেকোনো পার্টি বা গেটটুগেদারে তার সাথে দেখা হলে তাকে একটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেও ভুলে যাবেন না।

৪৩৮৪ পঠিত ... ২২:৫৮, জুলাই ২৫, ২০২০

Top