পহেলা বৈশাখে বিকাল ৫টায় বাসায় গিয়ে যেভাবে নববর্ষ পালন করবেন

৯৫৫ পঠিত ... ২০:৫৬, এপ্রিল ০৭, ২০১৮

পহেলা বৈশাখে বিকাল ৫টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর)। ওই দিন ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে তারা। এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এবারের পহেলা বৈশাখে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাজধানীর সকল উন্মুক্তস্থানে প্রোগ্রাম শেষ করতে হবে।

পহেলা বৈশাখে সারাদিন নাহয় ঘুরে বেড়ালেন এদিকে ওদিকে, কিন্তু বিকাল পাঁচটার পর? কী করবেন বাসায় গিয়ে? কেমন হবে ঘরে বসে বৈকালিক নববর্ষ উদযাপন? ভাবতে চেষ্টা করেছে eআরকির নববর্ষ উদযাপন কমিটি! 

ডিজাইন: তানভীর রাসেল

 

১. ইভেন্ট খুলে ফেলুন

প্রথমেই ফেসবুকের মাধ্যমে ইভেন্ট খুলে ফেলুন। এতে করে আত্নীয়রা কে কে ওইদিন বাসায় আসবে সেটা জানতে পারবেন। যারা আসবে না, তাদেরকে ফোন করে আনার ব্যবস্থা করুন। বুঝতেই পারছেন, বিকাল ৫ টার পর যত বেশি আত্নীয় একত্রিত করতে পারবেন, নববর্ষ তত জমজমাট হবে।

 

 

২. অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরেই আনন্দ শোভাযাত্রা

নববর্ষ পালনের প্রথম ধাপে আপনাকে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করতে হবে। নিজেদের ফ্ল্যাট থেকে বাড়ির ছাদ পর্যন্ত রাস্তাটুকুর মধ্যে করে ফেলুন সুন্দর একটি স্নিগ্ধ বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। তবে খেয়াল রাখবেন, অন্যান্য ফ্ল্যাটের আনন্দ শোভাযাত্রার সাথে মিশে যাবেন না। এতে আপনার স্বকীয়তা হারিয়ে যাবে।

 

 

৩. ড্রয়িং রুমেই বৈশাখী মেলা

ড্রয়িং রুমে হতে পারে আপনার পারিবারিক বৈশাখী মেলা। এক্ষেত্রে বাসার কাজের ছেলেকে ফেসবুক পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি মেলা আয়োজনের দায়িত্ব দিতে পারেন।

 

 

৪. পান্তা-ইলিশ

যে সব আত্নীয় নিশ্চিত আসবে তাদেরকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পান্তাভাত এবং ইলিশ মাছ ভাজি করে আনতে বলুন। এতে করে খরচের সুষম বন্টন হবে। তবে মুখোশ এবং অন্যান্য ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে, যেহেতু আপনার বাসায় নববর্ষ পালিত হবে।

 

 

৫. ঘরেই করতে পারেন গান-বাজনা

বাসার ভেতরে থাকা ভাল মানের সাউন্ড বক্সে ছেড়ে দিতে পারেন বিভিন্ন বৈশাখী গান। 'মেলায় যাইরে ' গানটা ছেড়ে আত্নীয়দের সাথে ড্রয়িং রুমের দিকে দৌড় দিত পারেন। এতে করে বৈশাখের নতুন উদ্যম অনুভব করতে পারবেন।

 

 

৬. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে পারে বাথরুমে

সব শেষে বাথরুমের মধ্যে করতে পারেন একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাথরুমে ইকো হওয়ার কারনে মাইক্রোফোন বা সাউন্ড সিস্টেম দরকার হবেনা। পরিবারের মধ্যে যারা বাথরুমে গান গায়, তাদেরকে উৎসাহিত করুন। কোন প্রতিভাই ফেলনা নয়।

 

 

৭. পুরস্কার বিতরণী

পরিবারের মধ্যে যারা মুরব্বি স্থানীয় তাদেরকে প্রধান অতিথি বানিয়ে আয়োজন করে ফেলুন একটি বর্ণাঢ্য পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। আত্নীয়দের কেউ কেউ ফেসবুক লাইভে চলে যেতে পারে, তাদেরকে উৎসাহ দিন। সব শেষে সকলে মিলে গেয়ে উঠুন, 'এসো হে বৈশাখ, এসো এসো..'

৯৫৫ পঠিত ... ২০:৫৬, এপ্রিল ০৭, ২০১৮

Top