প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে দেশের মাটি ও মানুষ। বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ না যেতেই জেঁকে বসেছে গরম। শিশু-বৃদ্ধসহ কম বেশি সকল মানুষের অবস্থা-ই কাহিল। তবে তার মধ্যেও উল্লেখযোগ্য ঢাকা, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়াসহ দেশের বিশেষ কয়েকটি জেলা। তবে বাঙালি চিরকালই ইউনিক। সবচেয়ে প্রতিকূল অবস্থায় বাস করেও তারা তাদের অনূকূলে স্রোত ঘোরাবেই। ঠিক এমনই কিছু ঘটনা সামনে এল গতকাল দুপুর দেড়টায়।
জানা যায়, দেশের বেশ কিছু জেলায় গনগনে দুপুরবেলায় খোলা আকাশের নিচে তৈরি হচ্ছে ডিম পরোটাসহ আরও নানা খাবার আইটেম। হোটেল বন্ধ করে তারা এখন খোলা আকাশের নিচেই হোটেল দিয়েছেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে, নিরালা হোটেলের কর্ণধার সল্লিমুল্লাহ উদ্দিন জানান, রোদের তাপে রান্না হওয়ায় আমাদের লাকড়ি বা মাঝেমইধ্যে গ্যাস বিলটাও বাঁইচে যাচ্ছে। রোদের তাপে ডিম পোচ হইতে সময় লাগে ২ মিনিট, ডিম ভাজি ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড, ভাত হইতে ৭ মিনিট লাগে। গতকাল প্রথমবারের মতো মুরগীও রান্না করলাম...
নিজেরা রান্না করার সময়ে গরমে অসহ্য লাগে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি মুচকি হেসে বলেন, আমরা রান্নার সময় earki শীতের সোদন টি-শার্ট পরে থাকি। চারদিক থেকে শীত লাগে, আপনারাও ট্রাই মারতে পারেন। তবে হোটেলে যারা দু'বেলা খেতে আসেন তাদের জন্য আলাদা ছাউনি দেওয়া ব্যবস্থা আছে।
এ-তো গেলো মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তের গল্প। কেমন আছেন উচ্চবিত্তরা? উচ্চবিত্তদের জীবন ঘাঁটতে গিয়েও দেখা যায় অদ্ভুত ব্যাপার। ১০০ জন ওভেন ব্যবহারকারীর ভেতর ৯০ জনই ওভেন বিক্রি করে দিয়েছেন। রাহী নামের এক প্রকৌশলী জানান, শুধু শুধু বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে লাভ কী? ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে বারান্দায় রাখলেই যেখানে গরম হয়ে যায়, সেখানে ওভেন ব্যবহার বিলাসিতা।