পবিত্র মাহে রমজান প্রায় শেষের দিকে, চলে এসেছে পবিত্র ইদ উল ফিতর। সেই সাথে ধুমিয়ে চলছে মানুষের ইদ শপিং। এর ব্যতিক্রম নন টেসলা ও স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা সিইও ইলন মাস্কও। এক বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, আসন্ন ইদ উপলক্ষে তিনি টুইটার কিনেছেন। ইলন মাস্কের এই অভাবনীয় সিদ্ধান্তে মুগ্ধ ও বিস্মিত সারা পৃথিবীবাসী। তবে এ নিয়ে পরিবারের কাছে তোপের মুখে পড়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা-সিইও মার্ক জাকারবার্গ। এক গোপন অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায় ,তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান বিগত ক’দিন যাবত টিকটক কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনকি টিকটক কিনে না দেওয়ার আগ পর্যন্ত জাকারবার্গকে ভাত দেবেন না, এমন তথ্যও পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে প্রতিবেদন করতে আমরা প্রথমেই যাই মার্ক জাকারবার্গের বাসায়। দরজা খুলেন তাদের সন্তান ম্যাক্সিমা ও অগাস্ট। আব্বু কোথায় জিজ্ঞেস করতেই মুখ খুলে বড় কন্যা অগাস্ট। সে জানায়, বেশ ক’দিন যাবত জাকারবার্গকে ঘরে আটকে রাখা হয়েছে, এখন তার সাথে কথা বলা সম্ভব নয়। তবুও বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা মার্ক জাকারবার্গের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হই। কিন্তু এ কী! অল্প কয়দিনের ভেতরই তার স্বাস্থ্য ভেঙে গুড়িয়ে গেছে, তাকে দেখাচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ফেরত কোন সৈনিকের মতো, চোখের নিচে কালি, উসকোখুসকো চুল, কণ্ঠে বিষণ্ণতার ছাপ স্পষ্ট ভেসে আসছে।
বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’বাসা থেকে টিকটক কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ সবকিছুর জন্য দায়ী ইলন মাস্ক, এই ব্যাটা ইচ্ছা করেই আমাকে এমন বিপদে ফেলছে। প্রিসিলা বলছে টিকটক না কিনে আনলে বাসায় খাবার দিবে না। এমনকি আমার মেয়েগুলাও আমার সাথে ঠিকঠাক কথা বলে না..’ এই বলে অভিমানী গলায় চোখ মুছেন মার্ক জাকারবার্গ।
একটু পর জাকারবার্গ থমথমে গলায় আরও বলেন, ’আমি যে চেষ্টা করিনি, এমন না। ইয়েমিং এর কাছে গিয়েছিলাম টিকটক কেনার ব্যপারে কথা বলতে, কিন্তু এত বেশি দাম বললো যা আমার পক্ষে অসম্ভব। কত রিকুয়েস্ট করলাম একটু কম রাখার জন্য, কথা শুনলো না। শালা ডাকাত একটা।’
প্রিসিলা চ্যানের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রথমে রাজী হননি । তবে বেশ কিছুক্ষণ পর আমাদের জন্য লেবুর শরবত ও ফুলকপির বড়া নিয়ে এসে আমাদের পাশেই বসেন। ব্যক্তিগত সুখ দুঃখের আলাপ করতে করতে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ’দেখুন মানুষ হিসেবে আমি এমনিতেই মিনিমালিস্টিক। বিয়ের পর থেকে মার্ক আমাকে কোনো গিফট দেয় নাই (এ পর্যায়ে পাশ থেকে জাকারবার্গ মিনমিন করে উপহার হিসেবে দুই কন্যার কথা বললে স্বাভাবিকভাবেই এতে আরও ক্ষেপে যান প্রিসিলা)’ যতবার কিছু চাইছি ততবারই বলছে টাকা নাই, মাসের শেষে দিবো। গেটস ভাবী, বেজোস ভাবী, মাস্ক ভাবীদের সামনে কতবার যে লজ্জায় পড়ছি হিসাব নাই। এখন আমি আর ছাড় দিতে পারবো না।’
এ সময় কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘কুঞ্জুস একটা। শুধু আমি বলে এই কুঞ্জুস ব্যাটাটার সংসারে টিকে আছি।’
জাকারবার্গ নিজেও তার দুঃখের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সংসার চালাইতে হিমসিম খাই। টাকার অভাবে শুধু একটা টিশার্ট পরে ঘুরে বেড়াই। এখন আমি টিকটক কীভাবে কিনবো।‘
শুধু প্রিসিলা নয়, তার সাথে সহমত জ্ঞাপন করেন তাদের কন্যাদ্বয়ও। এ ব্যাপারে ছোট মেয়ে ম্যাক্সিম বলেন, ’ইলন চাচ্চুর থাকতে পারলে আমাদের থাকবে না কেন?’