ট্রেনে পাথর ছোঁড়া ছেলেদের উচ্চশিক্ষা নিতে আহ্বান জানালেন তালেবান শিক্ষামন্ত্রী

২০৫ পঠিত ... ১৬:৩৭, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

Taleban-Shikkhamontri

সম্প্রতি আফগান তালেবানের শিক্ষামন্ত্রী শেখ মৌলভি নুরুল্লাহ মুনিরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। নুরুল্লাহ মুনির সেখানে বলেন, 'এখনকার দিনে পিএইচডি ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রির কোনো মূল্য নেই। আপনারা দেখুন, ক্ষমতায় থাকা মোল্লা ও তালেবান কারওই পিএইচডি, এমএ, এমনকি হাইস্কুল ডিগ্রিও নেই। কিন্তু তারা সবার সেরা...'

পিএইচডি কিংবা মাস্টার্স ডিগ্রির মত সেকেলে কাগুজে ডিগ্রির বদলে তালেবান সরকার কারিগরি শিক্ষার দিকে নজর দিচ্ছেন। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু শিক্ষানবিশ ট্রেনে ঢিল ছোড়া ছেলেদের উচ্চশিক্ষা প্রদাণের লক্ষে আফগানিস্থান নিতে চান তারা। আফগানস্তানের একটি ভূয়া সূত্র থেকে এমনটা নিশ্চিত হয়েছে eআরকি।

ব্যাপারটা খোলাসা করে জানতে চাইলে নুরুল্লাহ মুনির eআরকির আফগানিস্তান প্রতিনিধিকে জানান, 'দেখেন, এই যুগে এসে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মত ভংচং নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। আমরা আহবান করছি সেসব ছেলেদের —যারা ট্রেনে অথবা মানুষের বাসার জানালায় পাথর ছুঁড়তে ভালোবাসে এবং নিয়মিত এই কাজটা করে। এদের মধ্যে এক ধরনের ফিউচার আছে। ফলাফলের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করার দরকার নাই, গবেষণা টবেষণায় সময় নষ্ট করার প্যারাও নাই। যার নিশানা যত নিঁখুত তার সিজিপিএ তত বেশি'

এই বক্তব্যে অত্যন্ত খুশি হয়ে আশেপাশের দেশগুলো থেকে আফগানিস্তানে পাড়ি দিচ্ছে অসংখ্য কিশোর, তরুন এবং যুবক। ফারশাদ (১৩) নামের তাজিকিস্তানের একজন কিশোর আমাদের জানিয়েছে, 'ভাই, কি যে মুসিবতে ছিলাম আর বইলেন না। অনেক বছর ধইরা হাইস্কুলে ভর্তির চেষ্টা করতেছি। কিন্তু একবারও পাশ করতে পারিনা। নুরুল্লাহ মুনির ভাইয়ের ভিডিও দেইখা আফগানিস্তান যাইতেছি। এতো মধুর কথা জীবনেও শুনিনাই। আহা! আমার আব্বা আম্মাও যদি এমন কথা বলতো....!'

আফগানিস্তানের মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, ইতিমধ্যে ছেলেদের তালিকা তৈরি করা শুরু হয়েছে। পাথর নিক্ষেপকারী ছাড়াও স্কুলে থাকতে যেসব ছেলেরা পাঞ্জা কিংবা কুস্তি খেলতো তাদেরও অভিনন্দন জানিয়ে আহবান করেছেন এই মন্ত্রণালয়।

এদিকে, আফগানিস্তানে বসবাসকারী উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরা এ নিয়ে প্রচন্ড হতাশায় ভুগছেন। মেহরাব হোসেন (৪০) নামের একজন হার্ভার্ড পিএইচধারী ব্যক্তি জানিয়েছেন, ' বিকেলে আমার সব পরীক্ষার সার্টিফিকেট ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকার মতো হয়েছে....'

২০৫ পঠিত ... ১৬:৩৭, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

Top