গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল উন্মোচন করল নতুন আইফোন ১১, ১১ প্রো ও ১১ প্রো ম্যাক্স। প্রতিবারের মতো এবারেও প্রকাশের পরপরই বিশ্বব্যাপী টেকিদের আলোচনায় চলে এসেছে আইফোন। তবে আইফোনের এই সাড়া পড়ে যাওয়া নিয়ে একেবারেই চিন্তিত না আরেক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। বাংলাদেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা শাওমি তাদের ফোনের পুরনো ফিচারগুলো নিয়েই সন্তুষ্ট।
নতুন আইফোনের অন্যতম সংযোজন হচ্ছে তিনটি ক্যামেরা। এছাড়া নতুন চিপসেট বাদে তেমন কোন চমক দিতে পারেনি অ্যাপল। অন্যদিকে শাওমির নিয়মিত গ্রাহকরা জানিয়েছেন, তাদের ফোনের অন্যান্য ফিচারের কাছে তিন চোখওয়ালা ফোন কিছুই না। এ বিষয়ে শাওমির এক গ্রাহক বলেন, ‘আমি জানি না আইফোনে কত কী করা যায়। তবে আমার শাওমি ফোন দিয়ে এমন অনেক কিছুই করা যায়, যেসব অন্যরা কল্পনাও করতে পারবে না।’ এরপর তিনি জানান এক অভিনব ফিচারের কথা, ‘আমার যখন কাজ থাকে না তখন আমি রান্নাঘরে না গিয়েই খই ভাজতে পারি। ভুট্টা মোবাইলের উপর রেখে দিলে নিমিষেই পপকর্ন হয়ে যায়।’ তিনি আরও জানান, শাওমি ফোনে ভাজা পপকর্ন অত্যন্ত সুস্বাদু।
এছাড়া আরও অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন আরও অনেক ফিচারের কথা। একজন বলেন, ‘আমার বাসার বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে এসেছে। সকালবেলা অফিসে যাওয়ার আগে ফোন চার্জে দিই, এরপর ফোন দিয়েই আমি কাপড় ইস্ত্রি করিয়ে নেই। কখনো কখনো গ্যাসের সমস্যা থাকলে সকালে রান্নাটাও আমি ফোনের উপর করে ফেলি। ডিম পোছ তো নিয়মিতই করি! এতে করে এক ঢিলে তিন এমনকি চারটি পাখিও আমি মেরে ফেলতে পারি।'
এ পর্যায়ে তিনি হাতে থাকা শাওমি ফোনে আবেগপ্রবণ হয়ে একটি চুমু দিতে গেলে তার ঠোঁট পুড়ে যায়। তবু সেই পোড়া ঠোঁটেই তিনি আরও বলেন, 'এটা শুধু মোবাইল না। মোবাইল চুলা। দেখাইতে পারবেন এমন কোনো আইফোন যা দিয়ে রান্না করা যায়!' এরপর তিনি ব্যক্তিগত গরজে শাওমি ফোনের একটি বিজ্ঞাপনী কপি সাপ্লাই করেন, 'নেই কাজ? তো শাওমি ফোন দিয়ে খই ভাজ।'
শাওমির ফিচার নিয়ে গ্রাহকদের এই সন্তুষ্টিই শাওমির কর্তাব্যক্তিদের নিশ্চিন্ত থাকার কারণ বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাওমির এই কর্মকর্তা eআরকিকে বলেন, ‘বাজারে টিকে থাকার জন্য আমাদের খুব বেশি কিছু ভাবতে হয় না। কাস্টমাররা আমাদের ফোন নিয়ে খুশি। একটা ফোন দিয়ে আপনি চুলার কাজ করতে পারছেন, এটি কিন্তু যেনতেন কোন কথা না!’