আসন্ন ২৪-২৫ অর্থ বছরে বাড়তে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিসের দাম। এনআরবির আকাশ চুম্বি কর উত্তোলনের আশার কারনে অতিরিক্ত কর বসবে বিভিন্ন পণ্যে।
এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে সরেজমিনে সকাল থেকে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আমাদের অফলাইন প্রতিবেদক। গরমে হয়রান হলেও দোকানে গিয়ে পানি কিংবা জুস কিনতে চাইতে ভয় পাচ্ছেন। আমাদের এখানে বাজেট পাসের আগে দাম বাড়ানোর খবরেই বেড়ে যায় পণ্যের দাম।
সকালে বাজেটের খবর পেয়ে তিনি রমনায় ঢু মারেন। নিজেও দৌড়িয়ে নিয়েছেন কিছুক্ষন আর কথা বলেছেন সাধারন মানুষের সাথে।
রফিক সাহেবের বয়স ৫৩ বছর। সরকারি চাকরি শেষে অবসর জীবনের শরীরের বাসা বেধেছে ডায়াবেটিস। তিনি জানালেন যে একই সাথে ইনসুলিন ও চাল গমের দাম বাড়ানোয় ভালো হয়েছে। চাল গম কম খাওয়া হবে, এতে ইনসুলিন ও লাগবে কম কম। সবই আসলে আমাদের কথা চিন্তা করে হয়।
তিনি কথা শেষ করতে না করতেই পাশ থেকে জব্বার সাহেব চেচিয়ে উঠে বলেন, দেখেন এইবারের বাজেটের অনেক কিছুর দাম বাড়ানো হচ্ছে। আমাদের অধিক উন্নতির কথা চিন্তা করে ইন্টারনেট, ফোন কলের দাম বাড়াও কিন্তু ভালো এক দিক থেকে। ফোন থেকেই কিন্তু দুনিয়া উচ্ছন্নে যাচ্ছে। এসব থেকে যত দূরে থাকা যাবে ততই শান্তি থাকবে। আর এখন তো সবাই ফোনে ইন্টারনেটে ঝগড়া করে, রাগ দেখায়, এঙ্গার ম্যানেজমেন্টের জন্য ভুয়া সাইকোলজিস্টের কাছে যায়। এসব থেকে কিছুটা হলেও নিস্তার পাওয়া যাবে বাজেট পাস হলে।
অন্যদিকে তেলের এবং বিভিন্ন তেল উৎপাদন কারী শষ্যের বীজের দাম বাড়াতে দু দিক উপকার হচ্ছে কোলেস্টেরল হবার সম্ভাবনা কমে যাবে, অন্য দিকে ওষুধের কাচা মালের দামও বাড়ছে এই বাজেটে। রোগ শোক কম হবে বলে টাকা পয়সাও খরচ কম হবে বলে জানালেন এক ব্যাক্তি। পাশ থেকে কে যেন ফোরন কাটে তেলের দাম বাড়ায় এখন আর চাইলেই বেশি বেশি তেল দিতে পারবে না কেউ।
জিনিসের দাম বাড়ছে এটা নিয়ে eআরকি করতে এসে এত পজেটিভ মন্তব্য না নিতে পেরে সামনে আগান। কিছুদূর এগোলে গাছের নিচে বাদাম চিবুতে থাকা তরুণ তরুণীর সাথে দেখা হয়। তারা ঘুম ছাড়া একে অন্যকে না দেখে, কথা বলা ছাড়া থাকতে পারেন না। এদিকে বিভন্ন এমিউজমেন্ট পার্কে যেতেও অতিরক্ত টাকা গুনতে হবে। কথার মধ্যে তরুণ বিয়ে করে ফেলবেন বললে তরুণী মুখ বাকিয়ে বলেন, আব্বু তোমাকে মেনে নিবে না।
মন মেজাজ খারাপ দেখে রাস্তার পাশের হকার থেকে বেনসন চাইতে গিয়ে শোনেন দাম বেড়ে ২০ টাকা। রাগের মাথায় ধুর মিয়া রাখেন, খাবোই না বলতে গিয়েও আস্তে করে বলে ফেললেন, দেন একটা।
অনেকে সরাসরি পজেটিভ বিষয় বলতে না পারলেও সেকেন্ডারি পজেটিভ ভাবনার শেয়ার করছেন। এমনই একজন বলেন, দাম বাড়লে যদি কোনোভাবেই নিজেকে পজেটিভ রাখতে না পারি কিংবা টাকায় কুলাতে না পারি তাহলে ঠিক করেছি কিডনি বিক্রি দিবো। আইফোনের জন্য কিডনি বিক্রি করার চেয়ে বেঁচে থাকার জন্য কিডনি বিক্রি করা বেশি লাভজনক। এরপরও যদি মানিয়ে নিতে না পারি তাহলে চোখ, রক্ত তো আছেই।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন