১#
এক ভদ্রলোক সদরঘাটে মাঝারি আকৃতির একটা আমগাছ নিয়ে লঞ্চে উঠছিলেন। গাছে গোটা চারেক আমও ধরেছে। আরেক ভদ্রলোক কৌতূহল দমাতে না পেরে প্রশ্ন হাঁকালেন, ‘ভাই, আমগাছ কত নিল?’
গাছের মালিক নিরাসক্ত গলায় জবাব দিলেন, ‘কুড়ি টাকা।’
‘বলেন কী! এত বড় চারা মাত্র কুড়ি টাকা নিল?’ টুপ করে ভদ্রলোকের চোয়াল ঝুলে গেল।
এবার আমগাছের মালিক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘ভাই, মিরপুরের একটা নার্সারি থেকে যখন গাছটা কিনেছিলাম তখন এটা ছোট্ট একটা চারাই ছিল। তারপর সেই চারা নিয়ে রওনা দিই সদরঘাটের উদ্দেশ্যে। যানজটে আটকা পড়ে শাহবাগ আসতে আসতেই ডালপালা গজিয়ে যায়। গুলিস্তান আসতে আসতে গাছে ফুল চলে আসে। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট আসতে আসতে দেখি আমও ধরে গেছে!’
২#
একবার মতিঝিল এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা। মুখ ভর্তি দাড়ি-গোঁফ। খানিকটা অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, ‘দাড়ি-গোঁফ রাখলি কবে থেকে! তোকে তো সবসময় ক্লিন সেভ অবস্থায় দেখি। রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না বুঝি?’
আমার প্রশ্ন শুনে বন্ধু মুচকি হেসে বলল, ‘তেমন কিছু না। সকালে ক্লিন সেভ করেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। পথে জ্যামে পড়ে মতিঝিল আসতে আসতে দেখি দাড়ি-গোঁফ গজিয়ে গেছে!’
৩#
যানজটে বিরক্ত হয়ে রফিক সাহেব পাশের যাত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভাই যানজট কী ছাড়বে?’
যাত্রী হুড়মুড় করে ঘুম থেকে উঠে বললেন, ‘আমার মতো ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেন, তাইলেই ছাড়বে।‘
৪#
ছাত্র আর শিক্ষকের মধ্যে কথা হচ্ছে…
শিক্ষক: তোমার পরীক্ষার নম্বর ১৫, ২০, ২৫ করে বাড়ছে কেন? এত ধীরে হলে কীভাবে হবে?
ছাত্র: স্যার, আমি তো আর জ্যামে আটকে থাকা গাড়ির মতো এক জায়গায় বসে নেই। ঠেলেঠুলে হলেও এগোচ্ছি।
৫#
অফিসে ক্যাম্পিং-এর ব্যাগ নিয়ে আসলেন রফিক সাহেব…
শফিক সাহেব: কী ভাই, অফিসের পরে ক্যাম্পিং-এ যাবেন নাকি?
রফিক সাহেব: কিছুটা সেরকমই ভাই।
শফিক সাহেব: মানে কী?
রফিক সাহেব: প্রতিদিন জ্যাম ঠেলে আসার কষ্ট আর নিতে পারছি না ভাই, তাই আজকে অফিসের ছাদে তাঁবু টানিয়ে নেব। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এখানে থেকেই অফিস করব।
৬#
কলেজের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী দেরি করে আসে। তাই একদিন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক জানতে চাইলেন…
শিক্ষক: গাড়ির ভিড়ে রাস্তা আটকে যাওয়াকে কী বলে?
শিক্ষার্থী: জ্যাম।
শিক্ষক: আর রাস্তা পরিষ্কার থাকলে?
শিক্ষার্থী: অ্যা… ইয়ে… বোধ হয় জেলি, স্যার।
৭#
রাতুল: আচ্ছা তানভীর, ট্রাফিক লাইট লাল কেন হয়? নীলও তো হতে পারে।
তানভীর: তোরও যদি রাস্তার মাঝখানে এভাবে চেঞ্জ করা লাগতো, তাইলে তুইও লাল হইতি। নীল না।
৮#
জয়নাল: দোস্ত, তিনদিনের ছুটি পাইছি। কিন্তু তুই তো জানিস আমাদের দেশে ছুটি পাইলে সবাই একসাথে ঘুরতে যায় যানজটে কোথাও যাওয়াই যায় না। এবার আমাকে বলে দে যানজটে না পরেই এই তিনদিন কীভাবে ঘুরবো!
আরেফিন: আমার কাছে একটা সমাধান আছে। সেটা হলো, তুই বাসা থেকে বের হইস না। বাসা থেকে বের না হলে এই তিনদিন যানজটও পাবি না।
৯#
মিরপুর থেকে এয়ারপোর্টের বাসে বসে আছে রাতুল, হঠাৎ করে কন্ডাক্টার এসে বলল, ‘মামা ফুল ভাড়া দেন, আপনি আগে হাফ ভাড়া দিছিলেন।‘
রাতুল: কেন ফুল ভাড়া দিব? আমি তো স্টুডেন্ট।
কন্ডাক্টার: স্টুডেন্ট হইছেন তো কী হইছে? রাইত ৯টার পরে হাফ ভাড়া নাই জানেন না?
রাতুল: কিন্তু আমি তো সকাল ৮টায় বাসে উঠছি।
কন্ডাক্টার: তো কী হইছে? এখন তো রাত ১০টা বাজে।
১০#
উপরের ৯টা জোক আজকে ঢাকা শহরের জ্যামে বসে লিখলাম। জ্যামকে কাজে লাগালাম।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন