১#
ঘোড়দৌড়ে হেরে গেছে একটি ঘোড়া। রেগেমেগে জকিকে পাকড়াও করলেন এক ক্ষুব্ধ সমর্থক।
সমর্থক: তুমি কি এর চেয়ে জোরে দৌড়াতে পারতে না?
জকি: পারতাম।
সমর্থক: তাহলে দৌড়ালে না কেন?
জকি: কারণ, আমাকে ঘোড়ার ওপর বসে থাকতে বলা হয়েছে।
২#
মনোবিজ্ঞানের ক্লাস চলছে। শিক্ষক বললেন, ‘ধরো, একটা লোক কিছুক্ষণ চুপচাপ চেয়ারে বসে থাকেন। হঠাৎ লাফিয়ে উঠে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন, লাফালাফি করেন, হাত-পা ছোঁড়াছুড়ি করেন। কিছুক্ষণ পর আবার বসে পড়েন। এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের মন্তব্য কী?’
পেছন থেকে এক ছাত্র বলল, ‘তিনি নিশ্চয়ই একজন ফুটবল কোচ।’
৩#
গলফ খেলছিল রাকিব। এমন সময় সেখানে উপস্থিত বন্ধু সজীব।
সজীব: রাখ তোর খেলা। চল, আমরা রেস্তোরাঁ থেকে খেয়ে আসি।
রাকিব: এখন যেতে পারব না। আমাকে ঠিক জায়গায় বলটা ফেলতে হবে। ওই যে দেখ, আমার কোচ দাঁড়িয়ে আছেন।
সজীব: তোর কোচ তো উল্টো দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি দেখবেন না। চল, আমরা চলে যাই।
রাকিব: দেখবেন না বলেই তো খেলছি। আমি চেষ্টা করছি বলটা কোচের মাথায় ফেলতে!
৪#
দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে রুস্তম। বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে গেল সে। এদিকে রেস্তোরাঁর দারোয়ান তাদের প্রবেশপথে আটকে দিল। বলল, ‘দুঃখিত স্যার, আপনি হাফপ্যান্ট পরে এসেছেন। হাফপ্যান্ট পরে আমাদের রেস্তোরাঁয় প্রবেশ নিষেধ।’
রুস্তম: ব্যাটা বুদ্ধু, কত বড় সাহস! আমাকে আটকে দিস! তুই জানিস আমি কে? আমি বিখ্যাত দৌড়বিদ রুস্তম।
দারোয়ান: তাহলে তো ভালোই হলো। এক দৌড়ে বাসা থেকে ফুলপ্যান্টটা পরে আসুন!
৫#
শিক্ষক বললেন, ‘একটি ক্রিকেট ম্যাচের বর্ণনা দিয়ে রচনা লেখো।’
মতি দুই মিনিট পরই খাতা জমা দিল। সে লিখেছে, ‘বৃষ্টির জন্য খেলা পরিত্যক্ত!’
৬#
বাবা: পল্টু, তুই আবার স্কুল পালিয়ে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলি?
পল্টু: না, বাবা। বিশ্বাস করো, আমি সত্যি বলছি।
বাবা: উঁহু, আমার বিশ্বাস হয় না।
পল্টু: আমি ফুটবল খেলতে যাইনি, বাবা, প্রমিজ! এই দেখো, প্রমাণ হিসেবে আমার ব্যাগে ক্রিকেট বল আছে!
৭#
এক ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে নিয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখতে গেছেন। ভদ্রলোকের স্ত্রী আগে কখনো ফুটবল খেলা দেখেননি।
স্ত্রী: মাঠের পাশে ওই মেয়েগুলো অমন নাচানাচি করছে কেন?
ভদ্রলোক: ওরা হলো চিয়ারলিডার। ওরা দর্শকদের আর খেলোয়াড়দের আনন্দ দেয়।
স্ত্রী: কেন? মাঠের পাশে খেলোয়াড়দের বসার জায়গার সামনে স্যুট-কোট পরা যে লোকটা লম্ফঝম্প করছেন, উনিই কি যথেষ্ট নন?
৮#
স্কুলে আট বছর বয়সী ছাত্রদের ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। খেলার মাঝখানে এক খেলোয়াড়কে ডেকে নিলেন কোচ।
কোচ: যা বলছি, মন দিয়ে শোনো। ফাউল হলেই রেফারির দিকে তেড়ে যেতে হয় না।
খেলোয়াড়: হুমম্।
কোচ: জয়-পরাজয় যা-ই হোক, সেটা খেলারই অংশ। হেরে গেলে তা নিয়ে উত্তেজিত হলে চলবে না।
খেলোয়াড়: হুমম্।
কোচ: আর কোচ যদি তোমাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে অন্য কাউকে খেলতে নামান, সেটা আরেকজনকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এটা খেলারই নিয়ম। এ জন্য কোচকে গালিগালাজ করা চলবে না। যা বলেছি সব বুঝতে পেরেছ?
খেলোয়াড়: হুমম্।
কোচ: গুড। এখন যাও আর তোমার মাকে এ কথাগুলো বোঝাও!
৯#
ক্রিকেট ম্যাচ শেষ করে বিলটু তার বন্ধু সঞ্জুর সঙ্গে কথা বলছে—
সঞ্জু: কী রে, এতক্ষণ কোথায় ছিলি?
বিলটু: ক্রিকেট খেলে আসলাম।
সঞ্জু: তা তুই কত রান করেছিস?
বিলটু: অল্পের জন্য সেঞ্চুরিটা করা হলো না।
সঞ্জু: কেন?
বিলটু: আর বলিস না! বিপক্ষ দল দুর্দান্ত এক বোলার নিয়ে এসেছিল।
সঞ্জু: কী করেছে সেই বোলার?
বিলটু: আরে, মাত্র ৯৯ রান বাকি থাকতেই আমার উইকেটটা নিয়ে নিয়েছে ওই বোলার।
১০#
মোকলেস বহু সাধ-সাধনা করে এসেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা দেখতে।
মোকলেসকে অনেকক্ষণ ধরে স্টেডিয়ামে বসে থাকা দেখে এক নিরাপত্তাকর্মী বললেন, ‘কী ভাই, ম্যাচ তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আপনি খালি খালি স্টেডিয়ামে বসে আছেন কেন?’
মোকলেস বলল, ‘আমি তো খেলার হাইলাইটস দেখতে বসে আছি।’
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন