২০২১ সালে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন পুলিশের সাবেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ। সম্প্রতি ওনার ব্যাপক ধনসম্পদ নিয়ে প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনেকেই বেনজীর আহমেদের এই শুদ্ধাচার পুরস্কারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বেনজীর আহমেদের জীবনের অনেক ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশে উনিই একমাত্র এই পুরস্কারের দাবীদার। eআরকির গবেষক দল এমনই কিছু ফ্যাক্ট খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে।
১# শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেও বেনজীর আহমেদ এই পুরস্কারের টাকা নিজে ভোগ না করে বন্যার্তদের মাঝে দান করেছিলেন। এমন একজন মহৎ মানুষ শুদ্ধাচার পুরস্কার পাবে না তো কে পাবে?
২# বেনজির আহমেদের বড় মেয়ে পড়ালেখা করেছেন নর্থ সাউথে। ওনার মেয়ে যেন ক্লাসের ফাঁকে এসে বিশ্রাম নিতে পারে সেজন্য বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা দিয়ে সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন। জানা গেছে, এই টাকা জোগাড় করার জন্য তিনি ইট ভেঙেছেন, ঠেলাগাড়ি ঠেলেছেন। এমন একজন বাবা হিসেবে শুদ্ধাচার পুরস্কার উনি পাবে না তো কি আবদুর রহমান বদি পাবে?
৩# বেনজীর আহমেদের বিলাশবহুল রিসোর্টে যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৭ কিলোমিটারের মত সড়ক পাকা করে দেয়া হয়েছিল। উনি নিশ্চয়ই শুদ্ধ মানুষ, নইলে সরকার জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে নিশ্চয়ই ওনাকে সড়ক করে দিতেন না।
৪# শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি বেনজীর আহমেদের। কিন্তু সবই দেশে। উনি চাইলেও বিদেশে সম্পদ গড়তে পারতেন। এইসব টাকা দেশে খরচ না করে খরচ করতে পারতেন কানাডায়, সিঙ্গাপুরে কিংবা মালয়েশিয়ায়। উনি তা করেননি। এমন একজন দেশপ্রেমিক মানুষকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়া নিয়ে কেন এত কথা উঠবে!
৫# এই দেশে যেখানে মেয়েদের বাবার সম্পত্তি থেকেই বাদ দিয়ে দেয়া হয় সেখানে একজন বেনজীর আহমেদ সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি মেয়েদের নামে কোটি কোটি টাকার শেয়ার কিনে দিয়েছেন, ফ্ল্যাট, প্রতিষ্ঠান, রিসোর্ট কত কী করে দিয়েছেন! এমন একজন নারীবান্ধন মানুষকে তো কয়েকটা শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়া উচিৎ।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন