সহ-সভাপতিদের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি

২৬০ পঠিত ... ১৭:৪১, মে ১৫, ২০২৩

সহ-সভাপতিদের-এক্সট্রা

মাথায় হেলমেট হাতে ক্রিকেট স্ট্যাম্প—দেখলে মনে হবে হেলমেট পরে বাইক চালাতে যাচ্ছে কিংবা ক্রিকেট খেলতেই নামছে; তবে বল পেটাবে স্ট্যাম্প দিয়ে। কিন্তু না, এমন কিছু না। এই তরুণ-তরুণীরা বাংলাদেশের পোস্ট মডার্ন যুগের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিস্ট, নিজেদেরকে তারা পরিচয় দেন সহ-সভাপতি বলে।

ভিন্নধর্মী কিছু এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির সাথে যুক্ত থাকেন সহ-সভাপতিরা। ভলান্টিয়ারিং, সাইক্লিং, গার্ডেনিং, স্পোর্টস—এই ধরনের প্রচলিত এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির ধ্যান-ধারণার বাইরে গিয়ে চাঁদাবাজি, হল বাণিজ্য, হেনস্থা, মারামারি—এই ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি করেন তারা।

এক্সট্রা কারিকুলার হিসেবে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত আছেন নাহিদ নামের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহ-সভাপতি। ৪৩ বছর বয়সী এই তরুণ ছাত্রনেতা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এক্সট্রা কারিকুলার হিসেবে চাঁদাবাজি করে আসছি। কিছুদিন আগে থেকে তো পড়ালেখা, বিজনেস, চাকরি-বাকরি সব ছেড়ে ফুল টাইম হিসেবেই এক্সট্রা কারিকুলার করতেছি।‘

সহ-সভাপতিদের এই ধরনের ভিন্নধর্মী এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি বেশ চ্যালেঞ্জিংও। তবু নিজেদের প্যাশন, দেশপ্রেম ও মানুষের একটু ভালো করার নেশায় দিনের পর দিন এই চ্যালেঞ্জিং এক্সট্রা কারিকুলারগুলো করে যাচ্ছেন কেউ কেউ। আশরাফ নামের সাভার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহ-সভাপতি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জও কম নাই! আসলে প্রতিদিন নিয়ম করে গেস্টরুম, গণরুমে গিয়ে এক্সট্রা কারিকুলার করে আসার পর আছে বাইরের চাপ। ইউনিভার্সিটির মোড়ে মোড়ে আরেক সহ-সভাপতি গ্রুপের সাথে দ্বিপাক্ষিক এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি করতে হয়। এরপর আছে রাতের বেলায় ক্যাম্পাসের এখানে সেখানে একে ওকে হালকা উত্তম মাধ্যম, ছিনতাই আরও কতো কী করতে হয় তার কোনো ইয়ত্তা নেই। তবু দেশের স্বার্থে আমরা করে যাচ্ছি।‘

পড়ালেখার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি করার সুযোগ পান না দেখে অনেকে এইসব এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির পাশাপাশি পড়ালেখা করেন। এর মধ্যে কেউ কেউ আছেন আরও বেশি ত্যাগী সহ-সভাপতি। সালেক নামের এক সহ-সভাপতি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির পাশাপাশিও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি করেন।

এই নতুন ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে যোগ দিতে পারেন যে কেউ। যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানান ভিন্ন ধর্মী এই তরুণদের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘একটা হেলমেট নিলেই হবে। হেলমেট নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলে হাতুড়ি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প, রড, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লাঠি এইগুলা আমরাই দেই।‘

অনেকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন এই এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিকে। পেয়েছেন সাফল্যও। কেউ কেউ দেশে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি করে হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছেন বিদেশেও। লক্ষ্য বিদেশেও একদিন গড়ে উঠবে এমন তারুণ্য নির্ভর এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিস্ট সোসাইটি।

২৬০ পঠিত ... ১৭:৪১, মে ১৫, ২০২৩

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top