টুপ করে ফেলে দেবো তাকে

৭৭৪ পঠিত ... ১৬:৩৩, মে ০৮, ২০২৩

Tup-kore

নোবেল বিজয়ী ইউনূস কর ফাঁকির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। জাতীয় রাজস্ব বিভাগ তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ এনেছে। আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পথে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে অভিবাদন ‘চুপি চুপি’ এমন মহৎ কাজ চালিয়ে যাওয়ায়।

ধন্যবাদ রাজস্ব বোর্ড ও আদালত। এই সুকৃতি জাতিকে গর্বিত করেছে।

ইউনূসের এই মামলা বিষয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয়, কেন উনি এক এগারো সরকারের সময় উনি রাজনৈতিক দল করে ভারতের কেজরিওয়াল কিংবা পাকিস্তানের ইমরান খানের মতো হবার অপচেষ্টা করেছিলেন।

এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। ১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় এটা ঠিক হয়ে গিয়েছিলো; কে রাজনীতি করবে কে করবে না!

তাছাড়া আমাদের দেশে হিন্দুদের কাস্ট সিস্টেম আর মুসলমানদের পীর প্রথার মাঝে আমাদের গণতন্ত্রের রুপরেখা ছিলো। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে অপমান করে ইউনূস রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন; কত বড় সাহস।

ভারত-পাকিস্তান তাদের দেশে ১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সম্মান রাখতে পারেনি। পবিত্র কাস্ট সিস্টেম ও পীর প্রথার জঠরে গণতন্ত্রের যে ভ্রুণ; তাকে তারা হত্যা করেছে। ভ্রুণ হত্যা সে যে আরও পাপ।

কিন্তু আমরা সেই ভ্রুণকে আজ পৃথিবীতে এনে একরকমের বেহেশতের বাগানে আছি।

আচ্ছা বলেন তো নোবেল পুরস্কারের জুরিরা কারা; তাদের কী যোগ্যতা আছে! নোবেল জুরিদের সঙ্গে খুশিজল আর চিপস খাইলেই ওরা নোবেল পুরস্কার দেয়।

আমি মনে করি, নোবেল কমিটির জুরিদের আমাদের দেশের বাংলা একাডেমি, একুশে ও স্বাধীনতা পুরস্কারের জুরিদের সঙ্গে কাজ করে কীভাবে যোগ্য মানুষকে খুঁজে বের করে পুরস্কার দেয়া যায়; সেই প্রক্রিয়াটা শেখা উচিত। তাতে যদি নোবেল পুরস্কার কমিটির হুঁশ হয়।

সাড়ে চুয়াত্তর সমীকরণে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কীভাবে কোন কাজ না করে কৃতিত্ব নিয়েছেন ইউনূস। আমেরিকা, আফ্রিকা, আফঘানিস্তানে ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প সফল হয়েছে; আন্তর্জাতিক মিডিয়ার এসব খবর আমি বিশ্বাস করি না। ওদের মিডিয়া নৈতিকতার ওপর আমি একেবারেই আস্থা রাখতে পারি না।

যে জাতীয় রাজস্ব বিভাগ ইউনূসের করফাঁকির অভিযোগ উত্থাপন করেছে; সেই রাজস্ববোর্ড কিন্তু এর আগেও সাংসদদের একশোগুন সম্পদ বৃদ্ধির খোঁজ খবর নিয়ে কারো কোন কর ফাঁকি পায়নি। কারণ কর্নওয়ালিশের ডকট্রিন সৎ ও যোগ্য নেতা খুঁজে পাবার একটি পরীক্ষিত উপায়।

ধরেন যারা ফরিদপুরে কিংবা বরিশালে ছোট ঘর বাড়িতে বাস করতো; তারা এখন ঢাকায় রাজপ্রাসাদে বসবাস করে। ঐ যে শ্রমের মর্যাদা। আর  পীর প্রথার প্রতি অপত্য ভক্তি। চাওয়ার মতো চাইলে সব পাওয়া যায়। আধ্যাত্মিক ব্যাপার এমনই। বুজুর্গ ব্যক্তির মাজারে গিয়ে অশ্রুসজল চোখে  প্রার্থনা করলে সবই মেলে। পবিত্র মানুষেরা বাঘের ও কুমিরের পিঠে করে এই জনপদে এসেছিলেন, অন্ধকার জনপদে আলো জ্বালাতে।

ঠিকই আজ আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। হাতির ঝিলে আমরা আলোর নাচন দেখি।

শেয়ার ব্যবসার টাইকুনদের আমাদের রাজস্ব বিভাগ যাচাই করে দেখেছেন, তারা খাঁটি সোনা। তারাও আধ্যাত্মিকতায় মগ্ন কোন ঋষির সঙ্গে একই ছবির ফ্রেমে যেন দেদীপ্যমান।

আমাদের আদালত অত্যন্ত সৎ ও ন্যায়শীল। ন্যায়বিচারের আলোয় স্নাত এই আদালত কখনো কেউ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বলে; তাকে বিচারের ওপরে ঠাঁই দেয়নি। কেউ কি কখনও বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, এই আদালতে গিয়ে আপনারা ন্যায়বিচার পাননি?

গণতন্ত্রের লৌহ পুত্র ভ্লাদিমির পুতিনের দেশেও নোবেল পুরস্কার পাওয়া লোক শাস্তি পেয়েছেন। স্ট্যালিনের ন্যায় বিচারের আলোকপ্রভা যেন ঠিকরে পড়ে রাশিয়ার আদালতে।

দুর্জনেরা বলেন, আপনারা আর আপনাদের সারিন্দা প্রতিষ্ঠানের মামলা-বিচার হচ্ছে উইচহান্টিং; রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

এই কারণে দুজন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য। তারা কী চায়! ইউনূস অপরাধ করেও কেবল নোবেল বিজয়ী বলে ছাড়া পেয়ে যাবেন!

আচ্ছা বলুন আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো কোন অপরাধটিকে খাতির করেছে; কাকেই বা সাধারণ ক্ষমা দিয়েছে!

আমাদের চোখে সবাই সমান; হাকিম নড়বে তবু হুকুম নড়বে না!

আপনারা যারা আংকেল স্যামের দোসর; উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত যারা ইউনূসকে সাধুপুরুষ ভাবেন; তাদের জানাতে চাই, কবি বলেছেন,

সুদখোর ইউনূস তুমি রক্তচোষা

পদ্মা সেতু থেকে টুপ করে ফেললে

বুঝবে কেমন এই খরস্রোতে ভাষা।

৭৭৪ পঠিত ... ১৬:৩৩, মে ০৮, ২০২৩

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top