'দেবদাস' চরিত্রে অভিনয় করে এর আগেই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন শাকিব খান। এবার তিনি প্রকৃতপক্ষেই হয়ে উঠলেন 'বাংলার দেবদাস'! গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় জোর করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ঢুকে যান তিনি। এ সময় 'পারু পারু' বলে তিনি চিৎকার করছিলেন বলে শিল্পীদের কাছ থেকে জানা গেছে।

এসময় তিনি জোর করে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনাকেন্দ্রে ঢুকে পড়লে দশ মিনিটের মধ্যে তাকে কোনোরকমে বের করে আনা হয়। বের করে আনার সময় তিনি বিড়বিড় করে বলছিলেন, 'পরিচালক সমিতি নে কাহা এফডিসি ছোড় দো অপু নে কাহা বুবলিকো ছোড় দো, আর আপনারা বলতেছেন, ভোটগণনাকেন্দ্র ছোড় দো? আরে যান মিয়া, ছাড়েন!'

শাকিব খানের অবস্থা বেগতিক দেখে সিনিয়র বড়ভাই ওমর সানি তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে কানে কানে বলেন, 'বেটা আমি সভাপতি ভোটে দাঁড়াইছি, এমনে আমার মান ইজ্জত খাইস না। এমনিই আমার বউ আছে এইখানে, বউয়ের সামনে ইজ্জত ফিরায়ে আনার এই একটাই চান্স, এর মধ্যে কী শুরু করছোস?' শাকিব খান এই কথায় আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, 'আমার মনের কষ্ট আপ ক্যায়া সামঝোগে চুন্নিবাবু? সমিতির সভাপতি কে ছিল, কে? আমি! নাম্বার ওয়ান শাকিব খান! গড ইজ ওয়ান, চ্যানেল ওয়ান, নাম্বার ওয়ান শাকিব খান। আর আজকে চিপায় পড়ছি দেখে আপনারা কেউ আমারে পাত্তা দিলেন না! হাহ!

শাকিব খান ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, এই অভিযোগে শাকিব খানকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন সাধারণ ভোটার এবং ওমর সানির প্যানেল বাদে অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা। এ সময় দুই প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। মাতাল শাকিব খান এসবের ধার না ধেরে একটু পরপর বলতে থাকেন, 'বেয়ারা, আরও দু পেগ দাও!'

আরেক সিনিয়র বড়ভাই মিশা সওদাগর শাকিব খানকে ধরে বাইরে নিয়ে গিয়ে কোনোরকমে গাড়িতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি শাকিব খানকে শান্ত হতে বললে, শাকিব খান ভারতের দেবদাস শাহরুখ খানের মত উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, 'কউন কামবাখত বারদাশত কারনে কো পিতা হ্যায়? হাম তো পিতে হ্যায় কে ইয়াহা বেঠ সাকে, তুমহে বারদাশত কারসাকে, বুবলি কো, থুক্কু, পারো কো ভুল সাকে...'।

এ পর্যায়ে আমাদের প্রতিবেদকের দিকে শাকিব খান বোতল ছুড়ে মারায় পরবর্তী ঘটনা জানা সম্ভব হয় নি।