চিমস, তোমাকে বিদায়

২০৪ পঠিত ... ১৭:৪৬, আগস্ট ২০, ২০২৩

চিমস,-তোমাকে-বিদায়

 

কোভিড চলাকালীন ঘরবন্দি সময়টা ছিলো ভীষণ বিষন্নতা, আতঙ্ক আর একাকীত্বের। ওই মুহুর্তে অনেককেই দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো। এরাই হয়ে উঠেছিল একমাত্র আনন্দের জায়গা। সেই সময়ে ফেসবুক ছিল মিম-ময়। আর বহু মিমে দেখা যেত বলটজ নামের একটি কুকুরকে, যেটি ‘চিমস’ নামেই বেশি পরিচিত ছিল। মানুষের হাসি-কান্না-আনন্দকে কড়ায় গণ্ডায় মেপে রাখা গেলে বলা যেত চিমস ঠিক কত মানুষকে আনন্দ দিয়েছিলো। তবে তার চেয়েও বেশি কষ্ট দিয়ে ১২ বছর বয়সী চিমস এবার চলে গেছে না ফেরার দেশে।

শিবা ইনু জাতের চিমস তার দুষ্ট চাহনি দিয়েই মূলত নজর কেড়েছিলো নেট নাগরিকদের। তার গোল মুখ, সঙ্গে অদ্ভুত হাসি মন জয় করেছিল মানুষের। তার সত্যিকারের ছবি থেকে  অ্যানিমেটেড ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ৬ মাস ধরে লিউকেমিয়ায় (ক্যানসার) ভুগছিল চিমস। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে অপারেশনের সময় সে মারা যায়।

চিমসের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার মালিক। তার মালিক সেখানে লেখেন, ‘চিমসের মৃত্যুতে আপনারা মন খারাপ করবেন না। বরং কীভাবে সে করোনাকালে মানুষের মন ভালো রাখতে সাহায্য করেছে; তা ভেবেই মন ভালো রাখুন।‘ তিনি আরও লেখেন, ‘বলটজ এখন আকাশে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানেও নিশ্চয়ই ভালো ভালো খাবার খাচ্ছে!’

চিমসের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন নেটিজেনরাও। সবার ভালোবাসায় বেশ কিছু টাকা তোলা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা পরবর্তীতে তুলে দেয়া হয় বলটজের মালিকের হাতে। তবে সেই টাকা পুরোপুরি কাজে লাগানোর সুযোগই দেয়নি ভালোবাসার চিমস। কী এমন তাড়া ছিলো তার কে জানে! চিমসের মালিক জানিয়েছেন, তিনি সেই টাকা স্থানীয় পশুচিকিৎসাকেন্দ্রে দান করবেন। আমাদের প্রিয় চিমসকে আর কোনোদিন ফিরে পাওয়া না গেলেও হয়তো বেঁচে উঠবে তার মতো কেউ। সেদিনের আগ পর্যন্ত, চিমস, তোমাকে বিদায়…

২০৪ পঠিত ... ১৭:৪৬, আগস্ট ২০, ২০২৩

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top