তখন পুরনো ঢাকার দয়াগঞ্জে, নারিন্দার কোনো গলিতে কিংবা বসুবাজার, গুরুদাস সরকার লেনে বিদ্যুতের লাইন আসেনি। এক মাঝবয়সী লোককে কাঁধে মই, কেরোসিনের টিন, আর একটা নেকড়া হাতে দেখা যেত বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যার কোলে ঢলে পড়ার সময়টাতে।
সে কারও দিকে তাকাতো না। কোনো কথা বলতো না কারও সঙ্গে। মন্ত্রের মতো ল্যাম্পপোস্টের কাছে এসে দাঁড়াতো, কাঁধ থেকে মই নামিয়ে ল্যাম্পপোস্টের গায়ে দাঁড় করাতো।
তারপর মই বেয়ে উঠতো ওপরে। ল্যাম্পপোস্টের মাথায় বসানো চিমনির কাচ পরিষ্কার করতো নেকড়া দিয়ে। তারপর তেল ঢালতো ভেতরের কুপিতে। সলতেটাতে আগুন জ্বালানোর পর কাচ বন্ধ করে নেমে পড়তো মই বেয়ে। টিম টিম করে আলে জ্বলতো।
তারপর সে চলে যেতো পরের ল্যাম্পপোস্টে, তারপর পরেরটাতে। এমনি করে একের পর এক ল্যাম্পপোস্টে সন্ধ্যার বাতি জ্বালিয়ে সে চলে যেতো আর এক পাড়ায়।
তথ্যসূত্র: স্মৃতির ঢাকা, কাজল ঘোষ সম্পাদিত
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন