ঢাকার বায়ু আজ সোমবারও দুর্যোগপূর্ণ। আজ সকালে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকার স্থান প্রথম। রাস্তায় বের হলেই চারিদিকে ধুলা আর ধুলা। চোখ মেলে তাকানোর কোনো উপায়ই নেই। এমন অবস্থা নিয়ে ঢাকাকে প্রশ্ন করলে ঢাকা জানালেন, ‘শীত চলে গিয়েছে এটা মনে করে মানুষ যেন কষ্ট না পায় তাই ধুলা দিয়ে কুয়াশার ফিল দিচ্ছি।’
প্র: ধুলা দিয়ে কুয়াশার ফিলের ব্যাপারটা যদি একটু বোঝায়ে বলতেন…
ঢা: বোঝায়ে বলার আর কী আছে! ঘন কুয়াশা পড়লে যেমন এক হাত সামনে কিছু দেখা যায় না আমরা তেমন ঘন ধুলা ফেলব। তবে, আমাদের বেলায় এক হাত না, অর্ধেক হাত হবে আসলে।
প্র: কুয়াশা তো নির্দিষ্ট একটা সময়ে থাকে, মানে শীতকালে। ধুলার ব্যাপারটা কী?
ঢা: না, না। আমি কোনোভাবেই চাই না আমি থাকতে মানুষ কুয়াশাকে মিস করুক। আমি কুয়াশার মতো স্বার্থপর না, আমি সারাবছর এমনকী আজীবনই থেকে যাব। শুধু থেকে যাওয়াই নয়, আমার মাত্রাও বাড়বে একটু একটু করে।
প্র: মাত্রা বাড়বে বলতে কী বোঝাতে চাচ্ছেন? সোয়া হাত সামনের জিনিস দেখা যাবে না?
ঢা: শুধু কী তাই… কুয়াশায় যেমন জ্বর, ঠান্ডা আসে। আমিও এসব সুবিধা নিয়ে আসতেছি। এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, মাইগ্রেন, কাশি কোনোকিছুই বাদ যাবে না। একটা সময় এমন হবে, মানুষজন আমার ভয়ে ঘর থেকেই বের হবে না। তবে, ঘরে থাকলেও বিপদ!
প্র: এতে তো মানুষের অসুবিধা হবে…
ঢা: তো আমি কি বলেছি সুবিধা দেব? কুয়াশা তো একটা বাহানা, আসল উদ্দেশ্য নিজেকে আরও বেশি দূর্যোগপূর্ণ করে তোলা!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন