আবারও আলোচনায় বর্তমান সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তবে এবারের অভিযোগটা একটু ভিন্নরকম। অভিযোগকারিনী তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান৷ স্বামীর নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগ করে ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাদের কাছে থাকা লাইসেনতিনটি অস্ত্র ধানমন্ডি থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রহীন হওয়ার পর ইয়ার্কি'র পক্ষ থেকে ডা. মুরাদ হাসানের একটি (কাল্পনিক) সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এর চুম্বক অংশই আজ আপনাদের এখানে তুলে ধরছি---
: গুড ইভনিং স্যার, কেমন আছেন?
: আমার আর থাকা! তবে আদর্শ ও নানাজনের দয়া—দুই মিলিয়ে ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
: আমিও ভালো আছি স্যার। ইদানীং আপনার দিনকাল কেমন যাচ্ছে?
: এভ্রিথিং'স ফাইন। ওইদিন দুটি দেশ ট্রাভেল করে এলাম, মন এখনো ফুরফুরে আছে।
: আমরা শুনতে পেয়েছি আপনার তিনটা অস্ত্র জমা দিতে হয়েছে থানায়, এ ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন...
: আসলে চিন্তা করে দেখলাম, একটা মানুষের এত অস্ত্রের দরকার নাই। একটা হলেই হয়। আমার মুখ তো আছেই। ওটা তো জমা দেই নাই! কী বলো, ওটা নিয়ে তোমাদের কোন সন্দেহ আছে?
: জ্বি না স্যার, কারোরই কোন সন্দেহ নাই।
: হাহাহা। ধন্যবাদ।
: তবে স্যার ইয়ে মানে আপনার মুখটা কেমন যেন একটু কন্ট্রোললেস মানে যাকে বলে অনেক এনার্জেটিক আরকি! কীভাবে কন্ট্রোল করেন?
: শোন, সৃষ্টিকর্তা তাকেই কোন কিছু দেন যে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে। সেজন্যই আমাকে এমন মুখ দিয়েছেন। আমি এর সঠিক এস্তেমাল করতে পারি বলেই দিয়েছে। মুখের বিষয়ে আসলে সবাইকেই অনেক সাবধানী হতে হবে। মানুষ তোমাকে চিনবে কীভাবে? এই মুখ দিয়েই কিন্তু। বলে না, ব্যবহারে বংশের পরিচয়। সেজন্য শুধু মুখ থাকলেই হবে না, সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাও থাকতে হবে।
:স্যার, আপনার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ৯৯৯ এ কল দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেখান থেকে আমরা জানতে পেরেছি আপনি তাকে শারীরিক নির্যাতন এবং প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। এ কথার সত্যতা কতটুকু?
: জানিনা এসবের কারণটা কী। আমার ইদানীং মনে হয়, আমার স্ত্রী ভেতরে ভেতরে একজন বিএনপি। সে ইচ্ছা করেই আমার পেছনে লেগেছে। সে প্রায়ই রান্নাবান্না করতে চাইতো না। আমি তেমন জোর জবরদস্তি করতাম না। এমনকি আমি তাকে বাসায় ঢুকেই জিজ্ঞেস করতাম, ‘আজ কী রান্না করবে? নাকি ব্যার, আইএফজিডি-কে দিয়ে খাবার আনতে পাঠাবো?’ আসলে মেয়ে মানুষকে আপনি যত যাই দেন, এরা আল্লাহর শোকর গুজার করে না।
: জ্বি স্যার, আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি। যদি একটু ব্যক্তিগত জীবনে যদি প্রবেশ করার অনুমতি দেন,তাহলে জানতে চাইবো, হজ্বে কবে যাচ্ছেন?
: হজ্বে তো যেতাম। কিন্তু ভালো সফর সঙ্গী পাচ্ছি না।
: স্যার আরেকটা পার্সোনাল প্রশ্ন করবো৷ ফাইভ স্টার হোটেলে লাস্ট কোন স্যুইট ভিজিট করেছেন? আমরা আসলে একটা পজিটিভ রিভিউয়ের হোটেল স্যুইট চাচ্ছিলাম। আপনি যেহেতু নিয়মিত....
: হোয়াট ড্যু ইউ মিন!! হাও ডেয়ার য়ু আর!!
: না মানে স্যার, মাহির সাথে ওই অডিওতে.... : গেট লস্ট। রাইট নাও (উত্তেজিত কন্ঠে) :স্যরি স্যার। ভালো থাকবেন।
:ফা* ইউ।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন