গতবছর বইমেলার আগআগ দিয়ে একজন স্ট্যাটাস দিছিলো, ‘এই বই মেলায় আসতে যাচ্ছে আমার প্রথম সন্তান।’
স্ট্যাটাসটা পড়ে তার টাইমলাইনে ঘুরে আসলাম। লেখালেখির কিছু পাইনি, হয়ত লেখাট্যাখা ফেসবুকে শেয়ার করেন না, বা খুব একটা ফেসবুক ইউজ করেন না।
উৎসাহ দেয়ার জন্য টেক্সট দিয়েছিলাম, ‘ভাই, কবিতার বই নাকি গল্প/উপন্যাস?’
তিনি সেটাও সিন করেননি।
এরপর ফেব্রুয়ারীর ১৩ তারিখ দেখলাম হাসপাতালে চেক ইন দিয়ে স্ট্যাটাস দিছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ! পুত্র সন্তানের বাবা হলাম, মা এবং বাবু দুজনেই ভালো আছে, দোয়ায় রাখবেন।’
আমি দ্রুত গিয়ে আগের পাঠানো ম্যাসেজটা আনসেন্ড করলাম।
এবারও বইমেলা উপলক্ষ্যে কয়েকজনকে লিখতে দেখলাম যে তাদের সন্তান আসবে। তবে যারা যারা লিখছে, তাদের টাইমলাইনে লেখাটেখা আছে, কারো কারো সন্তানের কাভার পৃষ্ঠার ছবিও আছে। তাই স্বস্তি পাচ্ছি, এবার আর কোন মেসেজ আনসেন্ড করতে হবে না।
লেখকরা যে তাদের বইকে সন্তান হিসেবে দেখে, জিনিসটা ভালো লাগে আমার। বলতেও ভালো লাগে যে, শবনমের বাবা সৈয়দ মুজতবা আলি, দিপুর বাবা জাফর ইকবাল কিংবা হিমুর বাবা হুমায়ূন আহমেদ।
কিন্তু মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে আমার বাবা হিসেবে একটু কেমন কেমন লেগেছে সত্যি কথা! কোন বাবা তার সন্তানকে 'বউ', 'স্বামী', 'বড় দিদি' এসব নামে ডাকতে পারে?
উইয়ার্ড না?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন