বয়ফ্রেন্ডকে দেখিয়ে ট্রেন থামালেন তরুণী

২৮০ পঠিত ... ২০:৪৭, জানুয়ারি ২১, ২০২৪

419714611_781230627381937_4377809118699942678_n

ট্রেন চলাকালীন বিভিন্ন ইমার্জেন্সির মুখে পড়তে হয় প্রায়ই। কেউ কেউ ট্রেন থামাতে পারেন, কেউ আবার ব্যর্থ হয়ে পা আটকে বসে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাদের হাত,পা কিংবা গোটা শরীরটাই চলে যায় ট্রেনের মালিকানায়। এমন হৃদয় বিদারক সংবাদ শুনতে পাওয়া যায় দু'দিন পর পরই। তবে এবার ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার বিভাগের ছাত্রী মুসলিমা জাহান মৌ ও তার প্রেমিক বেলাল হোসেন।

মৌ তার সাক্ষাৎকারে বলেন, 'প্রতিদিনের মতোই বিকেলবেলা জব্বারের মোড়ে চা খেতে গিয়েছিলাম। চা খাওয়ার পর সাধারণত আমি এবং আমার বয়ফ্রেন্ড একটু হাঁটাহাঁটি করি। আরও স্পেসিফিক্যালি বললে ঝগড়া করি, মাঝেমাঝে কান্নাকাটি করি—এই আমার ডেইলি রুটিন। যেদিনের কথা বলছি ওইদিনও ঝগড়া করছিলাম। হঠাৎ করে আমার পা মচকে লাইনে ঢুকে গেলো। টেনেও বের করতে পারছি না। তখন আবার শুনি ট্রেন আসছে। আমার অবস্থাটা বুঝুন! ততক্ষণে আয়াতুল কুরসী,কালিমা পড়া শুরু করে দিছি। এদিকে আমার বয়ফ্রেন্ড নির্বিকার পাশে দাঁড়িয়ে ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদছে। এরপর হঠাৎ আমার মাথায় এক অদ্ভুত আইডিয়া আসলো। আমার বয়ফ্রেন্ডকে ট্রেনের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলাম। এক টুকরো লাল কাপড় অনেক খুঁজেও পেলাম না। ছোটবেলায় পড়েছিলাম চলন্ত ট্রেন লাল পতাকা দেখলে দাঁড়ায়৷ তবে তার সব রেড ফ্ল্যাগের কথা মাথায় রেখেই তাকে সামনে দাঁড় করিয়েছিলাম। এতই যে কাজ হবে বুঝতে পারি নি.... ’

‘রেড ফ্ল্যাগ আপনার জীবনের আশীর্বাদ না অভিশাপ'—এমন প্রশ্নের উত্তরে মুচকি হেসে মৌ বলেন, ‘জীবন বাঁচানোকে আশীর্বাদ না বলে উপায় আছে? ভাগ্যিস ওর একগাদা রেড ফ্ল্যাগ ছিলো!’

এদিকে ট্রেনচালকের সাথে কথা বলে জানা যায় আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কীভাবে রেড ফ্ল্যাগের মানুষ দেখেই চিনলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ট্রেন চালাই বইলা একদম মূর্খ মানুষ, জিনিসটা কিন্তু সেইরকম না। আমি ফেসবুক চালাই ১৩ বছর ধইরা। আর এই ছেলেকে দেখছি 'Are we dating the same person' গ্রুপে। কমেন্ট বক্সে সবাই তার রেড ফ্ল্যাগ নিয়ে আলোচনা করতেছিলো। মেমোরি শার্প হওয়ায় মাথায় রয়ে গেছে....’

২৮০ পঠিত ... ২০:৪৭, জানুয়ারি ২১, ২০২৪

Top