মূল্যস্ফিতি, মুদ্রাস্ফিতির মতো নানান অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি, টাকা পাচার থেকে শুরু করে নানান ব্যথায় জর্জরিত দেশের অর্থনীতি। ফলাফল, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হুহু করে।
এরমধ্যে প্রথম আলো তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এক কেজি চিনি কিনতে গেলে সরকারকে ৪০ টাকা শুল্ককর দিতে হচ্ছে গ্রাহককে। ১০০ টাকার গরম মশলায় সেই শুল্ককরের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৫৯ টাকায়।
এদিকে এমন খবর জানার পরে দেশের জনগণের মাঝে দেখা দিয়েছে কিছু পরিবর্তন। জানা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ চায়ে আর চিনি ব্যবহার করছেন না, চিনির পরিবর্তে কাগজের টাকা দিয়েই গোলাচ্ছেন চা। জানা গেছে, এতে নাকি চা মিষ্টিও হচ্ছে। কমছে খরচও।
অন্যদিকে অনেকে এই কোরবানিতে গরুর মাংসে গরম মশলাও ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়েছেন। গরম মশলার বিকল্প হিসেবে নগদ টাকা বেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ শুরুও করেছেন, কাজও নাকি হচ্ছে। একটি অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে এমনটাই জানতে পেরেছে eআরকি।
অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, এমন পদ্ধতিতে চিনি কেনার চেয়ে টাকা কম খরচ হচ্ছে, পাশাপাশি গরম মশলার চেয়ে বেশি স্বাদ হচ্ছে টাকার মশলায়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে এক ভূয়া ক্রেতা জানান, চিনি কিনে সরকারকে ৪০ টাকা দেয়ার চেয়ে সেই টাকা গুলে চিনি খাইলে ভালো। ৪০ টাকা সেভ করা যায়। এই দূর্মূল্যের বাজারে ৪০ টাকা তো ৪০০ টাকার সমান। সেজন্য আমি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।