আড়ংয়ের ট্রায়াল রুমে সুড়ঙ্গ খুঁড়লেন বনানীর আফরিন

২০৩ পঠিত ... ১৬:২৫, মার্চ ৩১, ২০২৪

21 (3)

জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশচুম্বী। ইদ উপলক্ষে সবকিছু আরও অদ্ভুতভাবে চলে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আড়ং কিংবা দেশালের মতো দেশীয় ব্র‍্যান্ডগুলোতে জামা কাপড়ের মূল্যবৃদ্ধি বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তবু থেমে নেই সাধারণ মানুষের কেনাকাটা। কিনুক বা না কিনুক, ভীড়ের জন্য ঢোকা দুষ্কর আড়ংয়ের আউটলেটে। মানুষ মাত্রই রহস্যময়। এই ভীড়ের মধ্যেও মানুষ নানা কাজকর্ম করছে যা সবার ধরা ছোঁয়ারও বাইরে।

এমনই এক তথ্য যাচাই করতে আড়ং এর বনানী আউটলেটে গিয়েছিলো earki-র অনুসন্ধান টিম। প্রথমে অতিরঞ্জিত কিংবা গুজব মনে হলেও গিয়ে দেখা যায়, ঘটনার সত্যতা ১০০%। কাহিনীর সূত্রপাত ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে। তখনই কুমিল্লার কান্দিরপার থেকে বনানীতে শিফট হয়েছেন আফরিন ও তার পরিবার। ঢাকা শিফট হবার পরের সপ্তাহ থেকেই নিয়মিতভাবে আড়ং-এ যাওয়া আসা শুরু করেন আফরিন। তবে যাওয়া আসার তুলনায় তেমন কিছুই কিনতেন না তিনি।  দীর্ঘ সময় কাটাতে কাটাতে সেখানে সখ্যতা গড়ে ওঠে সেলসম্যানদের সাথেও। প্রায়ই তিনি চার পাঁচটি জামা একত্রে নিয়ে ট্রায়াল রুমে ঢুকেন। দীর্ঘ সময় কাটিয়ে বের হয়ে আসেন। পরিচিত হবার সুবাদে কেউ তাকে কখনো ঘাটায়নি।

ট্রায়াল রুমের অস্বাভাবিকতা এতদিন কারো চোখে না পড়লেও সম্প্রতি আরেক কাস্টমার ট্রায়াল রুমের  মেঝেতে হোঁচট খাওয়ার অভিযোগ করলে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে আসেন আড়ং-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ট্রায়াল রুমের কার্পেট সরাতেই পড়ে মাথায় হাত! দেখা মেলে বিশাল এক সুড়ঙ্গ। কামরুজ্জামান নামের এক পুলিশ সেই সুড়ঙ্গ দিয়ে যাত্রা শুরু করে পৌঁছে যান আফরিনের বেডরুমে। বেডরুম নয়, এটি যেন কাপড়ের গোডাউন। বেডরুম থেকে শুধু আড়ং-ই নয়, আরেকটি সুড়ঙ্গ পৌঁছেছে দেশালের শোরুমেও।

এমন ঘটনায় তৎক্ষণাৎ রিমান্ডে নেওয়া হয় আফরিনকে। জানা যায়, শুধু সে-ই নয়, তার ভাইয়ের রুম থেকেও সুড়ঙ্গ কাটা আছে রিচ ম্যান এবং জেন্টেল পার্কের ট্রায়াল রুমে। এসব চুরিকৃত মাল দিয়ে তারা ভাই বোন মিলে ফেসবুকে একটি কাপড়ের পেজ চালান। সম্প্রতি ভাবছিলেন আউটলেট দেবার কথাও। দেশাল এবং আড়ং এর প্রতি কৃতজ্ঞতার চিহ্ন হিসেবে শোরুমের নাম ঠিক হয়েছিলো 'দেড়ং'।

এ ব্যাপারে আফরিন বলেন, ‘পকেটে টাকা নাই, কিন্তু মন অনেক কিছু চায়। বাধ্য হয়ে করছি এগুলা। গরীব বলে কি শখ আহ্লাদ থাকবে না? বাদ দেন না ভাই, Allah Will Understand... ’

২০৩ পঠিত ... ১৬:২৫, মার্চ ৩১, ২০২৪

Top