'বিদেশ পালাতেই যদি না পারেন, তাহলে এই পেশায় এসেছেন কেন?' সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শিকদার ব্রাদার্সের বিশেষ পরামর্শ

৬৯৯ পঠিত ... ১৫:৪৮, মার্চ ৩০, ২০২৩

বিদেশ

প্রথম আলোতে ‘মাছ, মাংস ও চাইলের স্বাধীনতা লাগব’  রিপোর্টকে কেন্দ্র করে প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামানকে সিআইডি পরিচয়ে সাভার থেকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন ব্যক্তি। বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ২০ ঘণ্টা পর রমনা থানায় তার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ৩০ ঘণ্টা পর তোলা হয় আদালতে।  

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ফেক আইডি থেকে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন শিকদার ব্রাদার্স নামের দুই ব্যক্তি। উগান্ডার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এই দুই ব্যক্তি সাংবাদিকদের দিয়েছেন নানান পরামর্শও।

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানসহ অন্যান্য সব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে শিকদার ব্রাদার্স এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি বিদেশ পালাতেই না পারেন তাহলে এই পেশায় এসেছেন কেন?’

বিবৃতির ব্যাখ্যায় তারা বলেন, ‘সাংবাদিক হইছেন, মামলা খাবেন। এইটাই স্বাভাবিক। তার প্রস্তুতিও তো থাকতে হবে! নাকি? আমাদের দেখেও তো শিখতে পারেন। বাংলাদেশের আইনের যে গতি, একটু দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে তো ধরা খাবেনই!’

এই সময়ে প্রথম আলোর এই সাংবাদিকের বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিকদার ব্রাদার্স বলেন, ‘রিপোর্ট হইছে ২৬ মার্চ। ধরছে ২৮ মার্চ রাতে। পাক্কা একদিনের বেশি সময় পেয়েও বিদেশ যাইতে পারে নাই! বুদ্ধিসুদ্ধি না থাকলে যা হয় আরকি। সাভার থেকে তো এয়ারপোর্ট বেশি দূরেও নয়। আমরা যদি ঢাকার এই জ্যাম ঠেলে ধরা খাওয়ার আগেই বিদেশ চলে যেতে পারি ওর জন্য তো বিষয়টা আরও সহজ। দিয়াবাড়ি দিয়ে চলে আসবে। কোনো জ্যাম নাই।‘

এই সময়ে বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থার প্রশংসা করে শিকদার ব্রাদার্স বলেন, ‘এই দেশের আইনের গতি অনেক দ্রুত। এয়ারপোর্টে গিয়ে বিমান ধরতে না পারলে রক্ষা পাওয়া যায় না।‘

শামসুজ্জামানের পাশাপাশি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের উদ্দেশ্যেও গুরুত্বপুর্ণ উপদেশ দিয়েছেন শিকদার ব্রাদার্স। মতিউর রহমানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শুনেছি ওনার নামেও নাকি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। ওনার উচিৎ গ্রেফতারের আগে আগে বিদেশ চলে যাওয়া। প্রাইভেট বিমান লাগলে আমি ব্যবস্থা করতেছি।‘

৬৯৯ পঠিত ... ১৫:৪৮, মার্চ ৩০, ২০২৩

Top