এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট শেখার জন্য ৫ মিনিট স্কুলে ভর্তি হতে চান জীবনানন্দ দাশ

৭৩৬ পঠিত ... ১০:২০, আগস্ট ১০, ২০২২

Jibonanondo-dash

এক্সেল না শেখায় জীবনের লেনদেনে দারুণ পিছিয়ে পড়েছেন বলে এক আক্ষেপপত্রে জানিয়েছেন বিষন্নতার কবি জীবনানন্দ দাশ। তিনি বলেন, বনলতা সেনের সাথে তার অনেক দেনা-পাওনা এখনও বাকি রয়েছে কিন্তু এক্সেল না জানার কারণে তিনি সে হিসাব ঠিকঠাক রাখতে পারেন নি। ফলে প্রবল দারিদ্র্যের মুখে পড়ে একগাছা দড়ি হাতে একটি অশত্থ গাছ ও ৫ মিনিট স্কুলের ঠিকানা খুঁজে বের করেছেন দাশবাবু।

সম্প্রতি দক্ষতা অর্জন সংক্রান্ত একটি মোটিভেশনাল স্ট্যাটাস ফেসবুকে দেখে কবি জীবনানন্দ দাশ মাত্রাতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে এক দুঃসংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন। এই ডিজিটাল যুগে ডাটা এন্ট্রি না শেখার কারণে কি পরিমাণ পিছিয়ে গেছেন, তা ব্যাখ্যা করে সম্মেলনে তিনি জানান, ‘নির্জনতার কবি হিসেবে আমি নিভৃতে নির্জনে আকাশ, বাতাস, চাঁদ, প্রেম নিয়ে কবিতা রচেছি। আমার রচিত কবিতা পাঠ করে অজস্র মোটিভেশনাল স্পিকার সাফল্য অর্জন করেছে। অথচ, এক্সেলে ডাটা এন্ট্রি না দিতে শেখায় আমি তাদের কাছ থেকে কপিরাইট বাবদ কোন লভ্যাংশ পাইনি।‘

ঠিকমত পিপিটি দিতে পারেননি বলে বনলতা সেন তাকে বেল দেয় নি, এমন অভিযোগ তুলে জীবনানন্দ বলেন, ‘আমি এবার ৫ মিনিট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেব। বনলতা সেনের সাথে পিপিটি ও এক্সেল সংক্রান্ত যাবতীয় লেনদেন মিটাবোই মিটাবো।‘

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি হতাশ হয়ে বলেন, 'আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?- এই কাজ বলতে যে আমার মা কুসুমকুমারী দাশ এক্সেল ও পিপিটি জানাকে বুঝিয়েছেন, তা আমি শিশুকালে ধারণাই করতে পারি নি। সলোমন দুঃখন তার স্ট্যাটাসে সেটি আমায় এই বুড়ো বয়সে বুঝিয়ে দিয়েছেন।‘

পিপিটি ও এক্সেল শিখে কবিতাকে বিদায় জানাবেন কি না এ প্রশ্ন শুনে খানিক চুপ করে থাকেন জীবনবাবু। এরপর একটু রাগান্বিত হয়েই বলেন, ‘মুখে খাবার আর পকেটে টাকা থাকলে কবিতার ফিলিংস জমে ভালো। আগে দক্ষতা অর্জন করি, পরে নাহয় কবিতার কাঁথা গায়ে দিয়ে আরামসে ঘুরে বেড়াব।‘

৭৩৬ পঠিত ... ১০:২০, আগস্ট ১০, ২০২২

Top