মন্ত্রিসভা ঘোষিত হলেই তা নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হতে থাকে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর ক্যাবিনেট কেমন হবে, তা নিয়ে বেশ কৌতুহল ছিল সবারই। তবে সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কে পান। আগের দুই মেয়াদে শিক্ষাখাতে বেশ কিছু চমৎকার কাজ হলেও গত কয়েক বছর বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রকোপে শিক্ষা ব্যবস্থা যেন 'ডেঞ্জার জোনে' চলে গিয়েছিল। সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিল, কে হবেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী?
অবশেষে গত ৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হলে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ডা. দীপু মনির নাম দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অনেকেই। দীপু মনির শিক্ষাজীবন বেশ বর্ণাঢ্য। রাজধানীর হলি ক্রস কলেজ থেকে পাশ করে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। এরপর পাবলিক হেলথে মাস্টার্স করার সুযোগ পান বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান জন হপকিন্সের ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এ। এখানেই শেষ নয়, তারপর আইন নিয়েও মাস্টার্স করেন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে। তিনি এখন একই সাথে একজন চিকিৎসক এবং সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
এমন সুশিক্ষিত একজন মানুষকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পেয়ে আনন্দ ও স্বস্তির পাশাপাশি প্রত্যাশাটাও অনেক। তার উপর গত কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিন দশক আগের একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানের ক্লিপ ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা দেখে প্রত্যাশাটাকে অযৌক্তিকও মনে হয় না। ১৯৮৭ সালের টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মেডিকেলের শিক্ষার্থী দীপু মনি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে একজন বিতার্কিক। দেশের তৎকালীন সময়ের আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধান শিক্ষায়, এমন একটি বিষয়ের পক্ষের দলে ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে বক্তৃতা দিতে এসে তিনি চমৎকার করে বলেন, কী করে সুশিক্ষাই পারে আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যাকে দূর করতে পারে, কী করে বাংলাদেশ দারিদ্রের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।
তখনো নিশ্চয়ই তিনি ভাবেননি যে, একটা সময় দেশের শিক্ষামন্ত্রীই হয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু তার কাছে এবার সুযোগ এসেছে শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান সংকটগুলোকে দূর করে একটি সুন্দর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা কিনা দেশের অন্যান্য সংকট ও প্রতিবন্ধকতাকে দূর করতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সেই তিন দশক আগের বক্তৃতাটি দেখুন-
3
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন