জাতিসংঘ এথিকস কমিশন (ইউএনইসি): এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। গতকাল জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিরংকুশ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য কেবল ভারত ও নতুন হিন্দুরাষ্ট্র চাঁদের ভোট পেয়েছেন।
মি ভট্টাচার্য এর আগে নোবেল জয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অশিক্ষিত বলে অভিহিত করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। তবে ঢাবি ভিসি নোবেল জয়ী ইউনুসের পক্ষে স্বাক্ষরকারী প্রায় একশ জন নোবেল বিজয়ীকে নীতিজ্ঞান বর্জিত বলে রাতারাতি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েত্তেরেস ঢাবি উপাচার্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘নীতিজ্ঞানের পাদপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত কয়েকটি দশকে যে ছাত্ররা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন, সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ হিসেবে তারা আলো ছডিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে ও সমাজে।‘
ইউএনইসির বিদায়ী চেয়ারম্যান পাকিস্তানের রাজনীতিক আসিফ আলী জারদারি বলেছেন, ‘আজকের নীতিবর্জিত পৃথিবীতে নীতিজ্ঞান সবচেয়ে জরুরি বিষয়। আশা রাখি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান দুর্নীতিতে নিমজ্জিত পৃথিবীকে আলো দেখাবেন।‘
মহাকাশ লীগের নব নির্বাচিত সভাপতি ইলন মাস্ক ভিসিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘মহাকাশে গণরুম, আয়নাঘর, হেলমেট, হাতুড়ি, খাতা-কলম, যেমন ইচ্ছে লেখার চাঁদাবাজির খাতা, ছা-ছপ-ছমুছা; সবই প্রচলন করা হবে; যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগের আদর্শ মহাকাশ দাপিয়ে বেড়াতে পারে।
‘ইউনুসের পক্ষে’ ‘টাকার বিনিময়ে’ স্বাক্ষরকারীরা বিপাকে।‘
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের যে নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা চিঠি দিয়েছেন, তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সততার পরাকাষ্ঠা এই উপাচার্য বলেন, ‘আমার ধারণা, তাদের হয়তো বা কোনো গোষ্ঠী, কোনো সম্প্রদায়, কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করেছেন। সে কারণেই আজকে তারা দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন; অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিজ্ঞানের বাতিঘর এই উপাচার্যের এই বক্তব্যে নড়েচড়ে বসেছে নোবেল কমিটি। ইউনূসের পক্ষের চিঠিতে অর্থের বিনিময়ে স্বাক্ষরের অভিযোগ প্রমাণ হলে স্বাক্ষরকারী প্রায় একশ নোবেল বিজয়ীর পুরস্কার বাতিল হয়ে যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেছিলেন, ইউনূস স্বাক্ষরকারীদের ২ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। এতে স্বাক্ষরকারীরা মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বারাক ওবামাকে সন্দেহজনকভাবে কয়েক কেজি মাংস কেনার দায়ে এফবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। মাংসের দোকানী সাক্ষ্য দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবসর গ্রহণের পর এই প্রথম ওবামা মাংসের বাজারে এসেছেন; তা-ও আবার কয়েক কেজি মাংস কিনেছেন।
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ওরহান পামুক ও কোয়েটজিকে লাস ভেগাস থেকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই। ছেঁড়া কোট ও সোল খুলে যাওয়া জুতা পরা দুটি লোককে ক্যাসিনোতে ঢুকতে দেখেই সন্দেহের উদ্রেক হয়। তাদের প্রত্যেকের পকেটে ২০ হাজার টাকা করে পাওয়া গেছে।
ইউনুসের পক্ষে টাকার বিনিময়ে স্বাক্ষর প্রদানকারী ১৬০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
‘ইউনুসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের আশংকা’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন তার নোবেল পুরস্কার স্থগিত রাখতে নোবেল কমিটির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর।
উল্লেখ্য যে সাবেক এই প্রক্টর সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, এস আলমের টাকা রপ্তানী, মখা আলমগীরের ফার্মার্স ব্যাংক ভক্ষন, গার্মেন্টস সেক্টরের নিয়ত শ্রম শোষণ সম্পর্কে স্পিকটি নট থেকেছেন। অথচ ইউনুসের শ্রম শোষণ ও দুর্নীতি সম্পর্কে সোচ্চার হয়েছেন। অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ২০২৩ এর জন্য মনোনীত ‘থিংক বিগ, এক্সপেক্ট লেস’ লোটাস থিওরির জনককে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়ায় ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লীগের পুরোধা হিসেবে এই পুরস্কারের হকদার হয়েছেন এই সাবেক প্রক্টরও।
আগামী ডিসেম্বরে নরওয়েতে এই পুরস্কার দেয়া হবে।
ওদিকে বাংলাদেশের অত্যন্ত সৎ ও যোগ্য বুদ্ধিজীবী লীগের নিয়ত দাবীর মুখে ইউনুসের নোবেল পুরস্কার বাতিলের বিষয়টি নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
নিউইয়র্ক টাইমস: এর নির্বাহী সম্পাদক জো কাহানের নিজস্ব বাড়ি নেই। স্ত্রীর গঞ্জনা সইতে হয়, ভাড়া বাসায় কী সারাজীবন কাটবে আমাদের! খুব তো স্যুট টাই পরে ঘোরো, এদিকে মেয়েটাকে যে আইভী লীগে ভর্তি করবো, সেই মুরোদও তো নেই! ভুল হয়েছিলো এই জার্নালিস্টের চার্মে পড়ে যাওয়া। কতো বিলিওনিয়ারের ছেলে ইউনিতে আমার পেছনে ঘুর ঘুর করতো।
জো বাংলাদেশ বিষয়ক একটা পোস্ট এডিটোরিয়ালে চোখ বুলাচ্ছিলেন, শুকনো পাউরুটি শসা দিয়ে চেবাতে চেবাতে।
এমন সময় বাংলাদেশ থেকে ফোন। খুব কঠিন ও প্রাচীন ইংরেজিতে কথা বলছে কেউ একজন।
জো বলেন, ভাই আপনি সহজ ইংরেজিতে বলেন, আমি কঠিন ইংরেজি বুঝি না। নাইলে বাংলাতেই বলেন, চ্যাট জিপিটি দিয়ে ট্রান্সলেট করে উত্তর দিচ্ছি!
: জো ভাই, আপনার বাড়ির দুই বাড়ি পরে বাংলাদেশের এক উন্নয়ন সৈনিক সেকেন্ড হোম ও গোলাপ বাগান কিনেছে। তার মুখে আপনার অভাবের গল্প শুনলাম। আপনি যদি ইউনূসের বিরুদ্ধে একটা বিবৃতিতে সই করেন, তাহলে আমরা আপনার জন্য একটা বাড়ির ব্যবস্থা করতে পারি। ঢাকায় প্লট পাবেন; বিক্রি করে হুন্ডি সম্রাটের ক্যাসিনোর মাধ্যমে নিউইয়র্কে নিয়া যাবেন।
লাউড স্পিকারে এই লুক্রেটিভ অফার শুনে জো'র ওয়াইফ বলেন, ‘রাজি হয়ে যাও জো! একটা শ্যামল প্লট পেলে সেটা বেচে নিজামউদ্দিম আউলিয়া সেজে যেও। সবাই তখন তোমাকে এমিরেটাস সেইন্ট ভাববে! কেউ মনেই রাখবে না যে তুমি ইউনুসের উইচ হান্টিং-এর কোলাবরেটর হয়েছিলে।‘
: যে নাতসিদের অত্যাচারে আমার পূর্বপুরুষ জার্মানি থেকে পালিয়ে এমেরিকা এসেছিলো; এখন বাংলাদেশের সেই নাতসিদের কোলাবরেটর হতে বলছো আমায়!
মানি ইজ নো প্রবলেম
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শিরীন এবাদী খুব ফ্যাশান সচেতন মানুষ। অনেকদিন ধরে তিল তিল করে পয়সা জমাচ্ছেন নাকের প্লাস্টিক সার্জারি আর কপোলে বোটক্স করবেন বলে। হঠাৎ হিলারী ফোন করে জানালেন ‘প্রোটেক্ট ইউনূস’ প্রচারণার ব্যাপারে। স্বাক্ষর প্রতি ২০ হাজার টাকার অফারটা টুক করে নিয়ে নেন তিনি।
গতকাল হিলারী আবার ফোন করে বলেন, ‘এবাদী জানো ব্যারিস্টার লীগ আমাদের চিঠির প্রতিবাদী চিঠি পাঠিয়েছে। তাদের একজন জানালো ইউনুসের বিপক্ষের চিঠিতে স্বাক্ষর করলে আবার প্লট পাওয়া যাচ্ছে। এটা তোমার জন্য লুক্রেটিভ অফার। প্লট নিয়ে সেটা বিক্রি করে টাকাটা ক্যাসিনো লীগের মাধ্যমে হুন্ডি করে নিয়ে এসো।‘
এবাদী আনন্দে বিহ্বল হয়ে যান।ফোন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটা ফটো বের করে সেটার ছবি নিয়ে কসমেটিক সার্জনকে পাঠান। ছোট্ট বার্তা লেখেন, খরচ যাই হোক, মানি ইজ নো প্রবলেম।
কামুক ওরহান পামুক
নোবেল সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী তুর্কী বংশোদ্ভুত লেখক ওরহান পামুক সুইটজারল্যান্ডের ডাস ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্মেনিয়দের ওপরে চালানো গণহত্যার কথা উল্লেখ করেন।
এতে তুরস্কের ফ্যাসিস্ট সরকার তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। কেননা তুরস্কের পাঠ্যপুস্তকে আর্মেনিয়দের ওপর তুর্কীদের এই গণহত্যার সত্য লুকানো হয়েছে।
ওরহান পামুক দাবী করেন যে উনি বলেছেন আর্মেনিয়দের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে; কিন্তু তুর্কীরা গণহত্যা চালিয়েছে এমন কথা বলেননি তিনি।
তবুও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ৬০০০ লিরা জরিমানা হয় তার। সেইসংগে মামলা চালানোর খরচ তো আছেই। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য পডিয়ে কোন মতে চলে যায় তার। কিন্তু জরিমানার টাকা জোগাতে ঋণ করতে হয় তাকে।
ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে তার লেখা উপন্যাস সাইলেন্ট হাউজের মতো জীবন হয়ে যায় তার।
অবশেষে একদিন নোবেল সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী কোয়েটজি তাকে ফোন করে বলেন, পামুক অধ্যাপক ইউনূসকে তো চেনেন! তার বিরুদ্ধে এক ফ্যাসিস্ট সরকার উঠেপডে লেগেছে।
পামুক জিজ্ঞেস করেন, বেলারুশের ইউনূস!
: আরে নাহ।
: তাহলে কী চীন ভিয়েতনাম মায়ানমার কিংবা রাশিয়ার ইউনূস।
: আরে নাহ বিশুদ্ধদেশের ইউনূস।
: সেরেছে, এখন উপায়!
কোয়েটজি বলেন, আমরা সবাই মিলে তাকে বিশুদ্ধ লীগের হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছি। একটা অনুরোধ পত্র লিখছি ওখানকার বিশুদ্ধ নৈতিকতা যাজকের কাছে। স্বাক্ষরের জন্য সবাই মাথাপিছু বিশহাজার টাকা পাচ্ছে।
পামুকের চোখ কামুক হয়ে ওঠে। টাকা পাওয়ার উল্লাসে চিৎকার করে, ‘চিঠিটা কোথায় আছে বলো, আমি চল্লিশ ক্রোশ হেঁটে গিয়ে স্বাক্ষর দিয়ে আসবো।‘
তোমাদের মাছ মাংসের স্বাধীনতা কিনে দেবো
মিশেল হেঁসেল থেকে বেরিয়ে এসে দেখে ওবামা খবরের কাগজ মুখে বসে। মিশেল মুখ ঝামটা দিয়ে বলে, ‘অমন বসে বসে খেলে হবে, বাগানে কিছু কৃষিকাজ করলেও তো পারো, বাড়তি কিছু আয় হয়। জিনিসপত্রের দাম যা হয়েছে, মেয়ে দুটোকে কতদিন একটু মাছ: মাংস খাওয়াতে পারি না।‘
ওবামা মুচকি হেসে বলে, ‘আমি এক্ষুণি বাজারে যাচ্ছি, তোমাদের মাছ মাংসের স্বাধীনতা কিনে দেব।‘
: বড় আমার মাছ মাংস কিনবে মিনসে! পকেটে তো ডিম কেনারই টাকা নেই। সে হুঁশ কী আছে!
ওবামা ছেঁড়া কোটটা গায়ে চাপাতে চাপাতে বলে, ‘ইউনূস ভাই আমাদের নোবেল বিজয়ীদের মাথাপিছু বিশ হাজার টাকা দিয়েছেন। আজ অনেকদিন পর একটু বাজার করতে সাধ জাগছে, কই ব্যাগটা দাও!’
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: স্যাটায়ার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন