এমপিপুত্রলীগের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত: মারতে হবে বেছে বেছে

২২৬৯ পঠিত ... ০৭:০৬, অক্টোবর ২৭, ২০২০

এমপিপুত্র কর্তৃক সামরিক কর্মকর্তা প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় এক জরুরী সভায় বসেছে বাংলাদেশ এমপিপুত্র লীগ।
আজ সন্ধ্যায় সংগঠনটির কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় চলমান ঘটনায় উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি এমপিপুত্রলীগের ভবিষ্যত কর্ম পদ্ধতি ও কর্মপরিধি সম্পর্কে আলোচনা করেন এমপিপুত্ররা।

কাকে মারা যাবে, এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা না থাকায়ই হাজি সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিম এই ভুলটি করে ফেলেছেন বলে মত দেন আলোচকরা।
শাবাব চৌধুরী নামের এক জেষ্ঠ্য সদস্য বলেন, 'ইতিপূর্বে আমি গাড়ি চালিয়ে কয়েকবার বিভিন্ন ব্যাক্তিকে মেরেছি, কিচ্ছু হয়নি। কিন্তু ইরফান তো জানে না মেরেও ফেসে গেলো।'
এ সময় একাধিক সদস্য ইরফানের শাস্তিকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড বলে অবিহিত করেন।

'তাহলে আমরা কাকে মারবো' এক কনিষ্ঠ এমপিপুত্র এমন প্রশ্ন করলে একাধিক জেষ্ঠ্য সদস্য বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে পেটানোর ব্যাপারে মত দেন।

বেশিরভাগ সদস্যই বেসরকারী চাকরী জীবীদের পেটানোর পরামর্শ দেন।

চট্রগ্রামের এক এমপিপুত্র বলেন, 'এগুলা কোন বিষয় না। মন খারাপ হলে আমি মাঝে মাঝে পিটাই। কিছু হয় না। এরা গোবেচারা ধরণের পাবলিক। মার খেয়ে চুপচাপ বাড়ি চলে যাবে।'

সাংবাদিক পেটানোর পরামর্শ দেন কেউ কেউ। রঙপুরের এক এমপিপুত্র বলেন, 'বড় সাংবাদিক মারলে একটু রিস্ক হয়ে যায়। তবে মফস্বলের কাউকে মারলে প্রবলেম নাই। আমি ইতোমধ্যে ৪ জনকে মেরেছি। আপনাদের দোয়ায় কিচ্ছু হয়নি।'

ব্যাংকারদের মারার ব্যাপারে মতামত দেন কেউ কেউ। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাংকারদের অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ দেন জেষ্ঠ্য সদস্যরা।

বৈঠকে কেউ কেউ আইনজীবী মারার পরামর্শ দিলেও পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সদস্যরা।

ছাত্রছাত্রীদের মারা যাবে কিনা এই প্রসংগ আসলে সব সদস্যই ঢাকার প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের না মারার ব্যাপারে ঐক্যমত্য পোষণ করেন।
তবে যদি একান্ত পেটাতেই হয় তাহলে পেটানোর পর শিবির হিসেবে চালিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন সবাই।

ফেসবুক সেলিব্রিটিদের মারা যাবে কিনা এমন প্রশ্ন করেন রাজশাহীর এক এমপিপুত্র।
উত্তরে এমপিত্রলীগের সভাপতি বলেন, 'ফলোয়ার যদি ৩০ হাজারের কম হয় তাহলে মারা যাবে।' এর বেশি হলে না মারার ব্যাপারে মত দেন তিনি।

বৈঠকে নানান বিষয়ে বাদানুবাদ তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পথচারী, দিনমজুর, রিক্সা-ভ্যান চালক, শ্রমিক, এনজিও কর্মি, প্রকৌশলি, এরকম পেশার লোকজন মার খাওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার পাবেন।

একান্ত যদি সরকারি কাউকে মারতে ইচ্ছাভহয় তাহলে কী করবো এমন প্রশ্নের উত্তরে সভায় কিছুক্ষণ নীরবতা নেমে আসে। এক প্রভাবশালী এমপিপুত্র তারপর উত্তর দেন, 'সরকারি কাউকে যদি মারতেই হয় তাহলে নিকটস্থ হাসপাতালে যাবেন। তারপর যতটা ডাক্তার পাবেন মেরে দিয়ে আসবেন, কিচ্ছু হবে না।'

২২৬৯ পঠিত ... ০৭:০৬, অক্টোবর ২৭, ২০২০

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top