প্রথম ধাপে এলাকাবাসী দ্বারা নিরবচ্ছিন্নভাবে ইভটিজিং সম্পন্ন হতে দেয়ার মাধ্যমে ধর্ষককে সাহস যোগানো হয়। পর্যাপ্ত সাহস পাওয়ার পর ধর্ষণ সম্পন্ন। এলাকা হালকা উত্তেজিত হয়।
ধর্ষক কয়েকদিন গা ঢাকা দেয়। এরপর সুযোগ বুঝে আত্মপ্রকাশ করে আবারো এলাকাবাসীর দ্বারা সাহস সঞ্চার করে নতুন শিকার টার্গেট করে।
ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হয়। গ্রামের মুরুব্বি, মাতব্বর টাইপ লোক ধর্ষেকের সাথে মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে বাকিজীবন ধর্ষণ করার সুযোগ করে দেয়।
ধর্ষণ হয়। সমাধানের দায়িত্ব নেয় এলাকার পাতি নেতা, মেম্বার। এরপর তারাও মেয়েটাকে ধর্ষণ করে এলাকা ছাড়া করে।
একটু বড় ঘটনা। তাই চেয়ারম্যান পর্যন্ত যায়। চেয়ারম্যান সাহেব ধর্ষকের কাছ থেকে লাখ টাকা নিয়ে ধর্ষিতাকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়। ধর্ষক লাখ টাকা জমিয়ে অন্য কাউকে ধর্ষণ করে।
পুলিশ কেস হয়। পুলিশ ধর্ষকের কাছ থেকে লাখ টাকা নিয়ে ধর্ষিতাকে ভালোভাবে ধমকিয়ে, শাসিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। ধর্ষক বুক ফুলিয়ে এলাকায় যায়। এবং...
আরেকটু বড় ঘটনা। পত্র পত্রিকায় মাঝের পেজের নিচের দিকেও কোন এক কোনায় ছোট করে খবর আসে। দুইটা ফলোআপ নিউজ হয়। এরপর উপরের যেকোন একভাবে সমাধান হয়।
রাষ্ট্রীয় আলোচনায় আসা ঘটনা। হইহই রইরই। ধর্ষক গ্রেফতার হয়। ১০ দিন ধরে পত্রিকাগুলোর ফলোআপ নিউজ। ঘটনা ঠান্ডা। একমাস পর ধর্ষকের জামিন।
আরো বড় ঘটনা। আলোচনা পার্লামেন্টে যায়, দ্রুত বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেষ আসে। দ্রুত গতিতে ধর্ষক গ্রেফতার হয়। দেশবাসী খুশি হয়ে কিছুদিন পর ভুলে যায়। এক বছর পর ধর্ষকের জামিন হয়ে যায়। এই খবরও পত্রিকার মাঝের পাতার নিচের দিকে কোন এক ছোট কোনায় ছাপা হয়।
এবং......
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন