একটা নির্জন দ্বীপের মধ্যে সাহেদ প্রবল বেগে দৌড়াচ্ছেন। তার পেছনে র্যাব তাড়া করেছে। দৌড়াতে দৌড়াতে সাহেদ দেখলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তাঁর গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। সাহেদ একটু থেমে চিৎকার করে বললেন, স্যার আমাকে বাঁচান।
মন্ত্রী নির্লিপ্তভাবেই বললেন, 'কে আপনি? আমি কিছু জানি না।'
কষ্টে সাহেদের চোখ ভিজে উঠলো। তিনি আবারো দৌড়াতে শুরু করলেন। কিছুদূর যেতেই সাহেদ দেখলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বসে আছেন মাঠের মধ্যে। সেই মাঠে অসংখ্য গোরু ঘাস খাচ্ছে।
সাহেদ আবারো থামলেন। তারপর ডিজিকে বললেন, 'স্যার প্লিজ আমাকে বাঁচান'!
ডিজি মহোদয় গোরুদের দিকে তাকিয়েই বললেন, 'মিয়া ভাই! এইটা তো চুক্তির মধ্যে ছিলনা! তাইলে আসেন গোরুদের স্বাক্ষী রেখে একটা চুক্তি স্বাক্ষর করি'। ওদিকে র্যাব প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে।
সাহেদ আর্দ্র চোখে আবারো দৌড় শুরু করলেন। হঠাৎ সাহেদ দেখলেন ধানক্ষেতের মধ্যে টকশো চলছে। সাহেদ কাছে যেতেই দেখতে পেলেন টকশোতে অঞ্জন রায় দৃঢ় কন্ঠে বলছেন, 'অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে স্বদেশ'!
সাহেদ টকশো কাটিয়ে আবারো দৌড়াতে লাগলেন। হঠাৎ শোরগোল শুনে সাহেদ ডানদিকে তাকালেন। দেখলেন, অসংখ্য কোভিড পজিটিভ রোগী এগিয়ে আসছেন তারই দিকে। সাহেদ তাদের চিনতে পারলেন। এদেরকেই তিনি ভুয়া নেভেটিভ-সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। তারা সেই সার্টিফিকেট উঁচিয়ে এগিয়ে আসতে আসতে বলল, 'তোমাকে আমরা বাঁচাবো। এসো সাহেদ, আলিঙ্গন করি।'
সাহেদ ভয়ার্ত চোখে আরো জোরে দৌড় শুরু করলেন। দৌড়াতে দৌড়াতে তার বোরকা প্রায় খুলে যাওয়ার উপক্রম। হঠাৎ তিনি দেখলেন দ্বীপের শেষ প্রান্ত থেকে সাদা গাউন পরে এগিয়ে আসছেন সাবিলা নূর।
সাহেদ ক্লান্ত হয়ে তার সামনে বসে পড়লেন। তারপর কাতর কন্ঠে বললেন, 'আপা, আপনি প্লিজ আমাকে বাঁচান! আমার সব টাকা আপনাকে দিয়ে দেবো!' সাবিলা নূর মিষ্টি হাসি দিয়ে বললেন, 'তাহলে চলো! তোমার বিকাশ একাউন্ট খুলি!'
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন