অনন্দবজরের অশ্চর্য ভষরীতি

৯৭০০ পঠিত ... ২২:৫১, জুন ২২, ২০২০

জগতের হিসব-নিকশ বড়ই জটিল। অত্যধিক রহস্যময়। তরও অধিক রহস্যময় ভরতের পশ্চিমবঙ্গস্থ  দৈনিক সংবদপত্র অনন্দবজর। তহদের ভষরীতি, বিশেষত ব্যক্তিনমের বনন, অত্যন্ত কৌতূহলজগনীয়া। কেবলমত্র ভরত নহে, বংলদেশের নগরিকবৃন্দের অন্ত:করণেও উক্ত বননরীতি সবিশেষ বিস্ময়ের উদ্রেক ঘটইয়ছে। সম্প্রতিক কলে, উক্ত সংবদপত্রটি বংলদেশ বিষয়ে এক খবরে 'খয়রাতি' শব্দটি ব্যবহর করিলে জনমনে উত্তেজনা তৈয়র হয়। উত্তেজনহেতু পত্রিকটির ভষরীতি নিয়ে নবরূপে অলোচনা শুরু হয়।

ব্যক্তিনমের বনন তহরা কেন এরূপে লিখিয়া থকে তহ বুঝা দুষ্কর। দুষ্কর বলিয়া হল ছড়িয়া দিবর পত্র অমরা নহি। বুঝিতে এক্ষণ অবধি অমদের চেষ্টা অব্যহত রহিয়ছে৷ 

সর্বগ্রে 'বংলা ভষর ব্যকরণ: অনন্দবজর পত্রিকা ব্যবহরবিধি' নামের পুস্তকখনি অমরা সংগ্রহ করিয়ছি। প্রখ্যত ভষবিদ জ্যোতিভূষণ চকী কিতবখনি রচনা করিয়ছেন৷ অনেকনেক গ্রমর ও ভষবিষয়ক তত্ত্ব ও তথ্য উক্ত গ্রন্থখনিতে রহিয়ছে সন্দেহ নই। তথপি, এই কিতবখনি তন্নতন্ন করিয়াও  অনন্দবজরীয় নমের বননের কোনোরূপ কুলকিনরা অমরা করিতে সমর্থ হই নই।

কহরো কহরো অভিমত, অনন্দবজর মূলত মুসলমনী নমের ক্ষেত্রে এরূপ বননরীতিতে নম ছপিয়া থকে।

তথপি, এরূপ কথর বিপরীতে যুক্তি হজির করা সম্ভবপর। নিম্নে তহ বর্ণিত হইলো: যদিও মুসলমনী নমের বননে উহদের অধিকংশ সর্কস দেখা যয়, তথপি মুসলমনদিগের নমের বননে উহরা এরূপ করিয়া থকে বলিলে সত্যের অপলপ হইবে। অমদের দবির পক্ষে উদহরণ হজির করিবো। নিম্নে অনন্দবজরের একটি অদর্শ বক্য অমরা পরীক্ষণ করিবো।

মটন খেয়ে ভিরেন্দর সহবাগের সাথে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও মশরাফি মূর্তজার রদভুঁ, বললেন মূখ্যমন্ত্রী।

উক্ত বক্যে অমরা দেখিতে পই, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ব্যতিরেকে আরও দুইটি নম। একটি ভিরেন্দর সহবাগ, অরকটি মশরাফি মূর্তজা। লক্ষ্যনীয় যে, কেবলি মুসলমনী নম হইলে ভিরেন্দর সহবাগকেও মুসলমন বলিতে হয়। তহ বলিলে সত্যের অপলপ হইবে।

অন্য একটি অভিমতও অমদর হস্তগত হইয়ছে। উক্ত মতনুযয়ী, কেবল বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রেই অনন্দবজর এরূপ বননরীতি অনুসরণ করিয়া থকে। দেশি শব্দের ক্ষেত্রে পত্রিকটি তহদের বনন স্বভবিক রখেন। তহই যদি সত্যি হয় সেইক্ষণে, অরেকখনা প্রশ্ন উত্থপিত হয়। অনন্দবজর বিদেশি শব্দ বা নম বলিতে কী বিবেচনা করিয়া থকে?

'ভিরেন্দর সহবাগ' কি অনন্দবজরের নিকট বিদেশি বলিয়া পরিগণিত হয়? 

অন্য অরও একটি মত এক ব্যক্তি দিয়ছেন। তহ হইলো, কলিকতর লোক ওই ভষয় বক্যলপ করেন বলিয়া অনন্দবজরও ওইরূপ ভষয় লেখে। এইরূপ মিথ্যচর অর হয় না। করণ কলিকতয় অরও অনেক পত্রপত্রিকা বা খবরের কগজ রহিয়ছে, তহদের বননরীতি কিন্তু অনন্দবজরীয় রীতি নহে। তবে কি অনন্দবজরই একমত্র কলিকতর ভষয় লেখে? আমাদিগের তহ বোধ হইতেছে না। হয়তো কেহই এরূপ বোধ করিবেন না।

পরিশেষে বলা যয় যে, নম বিষয়ে অনন্দবজরের অশ্চর্য ভষরীতির রহস্যভেদ নশ্বর মনুষের পক্ষে সম্ভবপর নহে। যুক্তির স্বভবিক গণিত দিয়া উহর কুলকিনরা করিতে কেহ নেহি পরেগা।

অধিকন্তু, অনন্দবজরের এইরূপ ভষব্যবহর প্রকরন্তরে বংলা ভষয় উর্দু, ফরসি ও অরবি শব্দ ঢুকিয়ে দিবর প্রয়স কিনা ইত্যকর সন্দেহ প্রকশ করিয়ছেন কতিপয় সংস্কৃতিমনা। উহ কি তবে বংলভষয় ইসলমিক ভষরীতি প্রণয়নের গভীর অনন্দবজরীয় ষড়যন্ত্র?

নম প্রকশে অনিচ্ছুক এক ভষবিজ্ঞনী বিস্ময় প্রকশ করিয়া এরশদ করেছেন: অত্যশ্চর্যতম ঘটনা হইলো, অনন্দবজর নম্মী খবরের কগজটি কী করিয়া 'খয়রাতি' শব্দটি ছপইলো। তহদের দীর্ঘদিনের ভষরীতির ও ভষরজনীতির সহিত উহ কোনোরূপেই সযুজ্যপূর্ণ নহে। অনন্দবজর কী জ্ঞত নহে যে 'খয়রাত' একটি অরবি শব্দ? বংল ভষয় অরবি ফর্সি, উর্দুর দপট হৃস করিতে তহদের বহুযুগের চেষ্টর কী হইবেক?

 

আরও পড়ুন

'খয়রাতি' শব্দটি যে কারণে আপনাকে অস্বস্তি দেয়

আপনাকে কেউ 'খয়রাতি' বলে গালি দিলে যে ১০টি উপায়ে জবাব দেবেন

৯৭০০ পঠিত ... ২২:৫১, জুন ২২, ২০২০

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top