যে ৫টি সম্ভাব্য কারণে বাস চাপা পড়া শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে হাসছিলেন শাজাহান খান

৩৯৬৪ পঠিত ... ০৫:১১, জুলাই ৩০, ২০১৮

তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে হেসে দিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। এমন অভিযোগে সয়লাব ফেসবুক।
কিন্তু বিশ্বাস করুন বন্ধুরা আপনারা মহান শাহাজাহান সিরাজকে ভুল বুঝেছেন, স্রেফ ভুল বুঝেছেন। মাথাটা একটু ঠান্ডা করুন প্রথমে। এমন মৃত্যু আগেও হয়েছে, মন্ত্রী তো বলেছেনই... ভারতে তেত্রিশজন মরেছে অথচ সেখানে তেমন আলোচনা হয়নি। অথচ আপনারা তিনজনের মৃত্যুতে এমন ভাব করছেন যেন দেশে আর কোনো মানুষ বেঁচে নেই। আমরা কী মরে গেছি? কয়জন লাগবে বলেন! কাল এক হাজার শিক্ষার্থী আপনার সামনে এনে দিচ্ছি!

ভারতের হিসাবে খুনি ড্রাইভারের আরো ত্রিশটা মানুষ পাওনা! অথচ সে তার অধিকার তো সে পায়ইনি, উল্টো তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে! এ কেমন রাষ্ট্র, এ কেমন আইন? বরং মানুষ কথা বলছে মন্ত্রীমশাইয়ের হাসি নিয়ে। চলুন তো, মন্ত্রীমশাই কেন হেসেছেন তা একটু ভাবতে চেষ্টা করি!

১# শিক্ষার্থীদের চাপা দিয়েছে জাবালে নূর নামের বাস। খবরে বেরিয়েছে বাসটির মালিক মন্ত্রীর শ্যালক। বাস চাপা দেয়ার পর খবর পেয়ে তিনি মনে মনে মুষড়ে পড়েন, শ্যালকের এই বিপদের দিনে কী হবে তার! আহারে, অসহায় লোকটা এখন কিভাবে সামলাবে এই পরিস্থিতি। মন্ত্রীর স্ত্রী যদি জিজ্ঞেস করে, কী করেছো আমার ভাইয়ের জন্য? স্ত্রীকে কী জবাব দিবেন তিনি? এইসব ভাবতে ভাবতে তিনি আরো কয়েকবার মুষড়ে পড়েছেন। তবে তার এই মুষড়ে পড়া সংবাদ মাধ্যমে তিনি দেখাতে চাননি। এতে সবাই সন্দেহ করবে। তাই তিনি হাসিমুখ রেখেছিলেন। অথচ আপনারা ভেবেছেন তিনি মৃত্যুর সংবাদ শুনে হেসেছেন। আপনারা এমন কেন?

২#  তিনি আগেই বলে দিয়েছিলেন, গরু ছাগল চিনতে পারলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া যায়। এটা নিয়েও এতোদিন সবাই ট্রল করেছে। এখন হলো তো তার কথা সত্যি? জাবালে নূরের ড্রাইভার কোনো গরু ছাগল চাপা দেয়নি। আপনারা যে আগেরবার তার কথা বিশ্বাস করেননি সেটা ভেবে তিনি তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়েছে। তবুও আপনারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন না?

৩# এই দেশে প্রতিদিন খুন হত্যা রাহাজানি গুম ক্রসফায়ার ইত্যাদিতে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। অথচ আপনারা মাত্র তিনজন মারা গেছে এতেই এতো আলোচনা করছেন দেখে মন্ত্রী সাহেব অবাক হয়ে হেসে দিয়েছেন। তিনি মোটেও শিক্ষার্থীদের মৃত্যু সংবাদ শুনে হাসেননি, তিনি হেসেছেন আপনাদের এক্সপেক্টেশন দেখে! আপনারা কী বলেন তো?

৪# উনার চেহারাই এইরকম। ছোটবেলা থেকেই স্মাইলিং ফেস। এই নিয়ে যে তিনি কতো রকম বিপদে পড়েছেন তার কোনো ইয়াত্তা নেই। তখন তিনি ক্লাস টু তে পড়েন। স্যার জিজ্ঞেস করেছেন, হোমওয়ার্ক এনেছো? তিনি হাসতে হাসবে বলেছেন, না স্যার আনিনি! তারপর অমানবিক সেই শিক্ষক শাহাজান সাহেবের মাথা টেবিলে ঢুকিয়ে পশ্চাতে ঠ্রস ঠ্রস করে বেত্রাঘাত করেছেন। তিনি তখনো হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে হে হে করে হাসছিলেন। শিক্ষক আরো ক্ষেপে গিয়ে মারতে মারতে জিজ্ঞেস করেছেন, তুই হাসতেছিস ক্যান? তিনি টেবিলে মাথা ঢোকানো অবস্থায় বলেছেন, পাশের দেশ ভারতে ছাত্ররা একটা সাবজেক্টেরও হোমওয়ার্ক আনে না। অথচ সেখানে তো এইসব শাস্তি নেই...

৫# উনি আসলে হাসেননি, অথবা হাসলেও তার হাসির গভীরে আছে অনেক ডিপ কোনো সাইকোডেলিক দুঃখবোধ। বিজ্ঞানীরা অনেকবার স্বীকার করেছেন, মানুষ গভীর দুঃখবোধের সময় হেসে ফেলে। আমরা আসলে উনাকে ভুল বুঝেছি। আসুন, আমরা সঠিক বুঝি, সবাই মন্ত্রীমশাইয়ের মনখোলা হাসির আড়ালে লুকানো গভীর দুঃখবোধটা বোঝার চেষ্টা করি!

৩৯৬৪ পঠিত ... ০৫:১১, জুলাই ৩০, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top