আ লিটল লার্নিং ইজ আ কিউট থিং

৯৪ পঠিত ... ১৬:৩৬, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

19

লেখা: মুশফিক প্রোমেল

ইন্টার-এ যেদিন ম্যাট্রিক্সের যোগ শিখলাম, সেদিন মনে হলো, এবার বুয়েটে একটা সিট কনফার্ম আমার।

ডিফারেনসিয়েশনের ২৬টা সূত্র শেখার পর মনে হলো, এই চ্যাপ্টার নাকি অনেকে বাদ দেয়। আমি তো সবই পারি। তাহলে মনে হয় বুয়েটে ফার্স্ট হওয়ার দৌড়ে আমার আশপাশে কেউ নাই।

কলেজ থেকে বের হয়েই উদ্ভাসে এক কপি ছবি দেওয়ার প্রস্তুতি নিলাম—যাতে ওদের অ্যাডমিশনের পর আমার ছবি ছাপাতে দেরি না হয়।

উদ্ভাসে ছবি দিয়ে একটা টিউশন আর একটা গার্লফ্রেন্ড খুঁজতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল। যাই হোক, আয়নার দিকে তাকিয়ে সেকেন্ড প্ল্যানটা বাদ দিয়েছিলাম।

এরপর পড়লাম ফিজিক্সের চলতড়িৎ চ্যাপ্টারে V=IR। এই সূত্র দিয়ে ম্যাথ সলভ করার পর মনে হয়েছিল, আমার মতো ছাত্র থাকতে এই দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি কেন?

বায়োলজির ‘রক্ত’ চ্যাপ্টারটা পড়ার পর মনে হলো, ও মা! আমি তো কাল থেকে ডায়ালাইসিস করতে পারব। আমার কি আলাদা করে এমবিবিএস পড়ার দরকার আছে?

নামের সামনে ‘ডাক্তার’ লাগিয়ে একটা ফেক আইডি খুলে রেখেছিলাম। পরে চান্স পেলেই নাম পাল্টে আসল নাম দেব—এই ছিল প্ল্যান।

আমাদের পড়া টপিকগুলো তো তাও আমাদের লক্ষ্যের সঙ্গে কিছুটা মিল ছিল। আমাদের চিন্তাগুলো ছাগলামি হলেও আমরা ছিলাম ‘লজিক্যাল ছাগল’।

এদিকে এক দল সমবাহু ত্রিভুজের পরিসীমা বের করে এসে বলছে, দেশে কারেন্ট, গ্যাস—সব নাকি বন্ধ করে দেবে।

এদের নাম দেওয়ার জন্য আমি বাংলা অভিধান বের করে খুঁজছি, আপনারাও খুঁজুন।

৯৪ পঠিত ... ১৬:৩৬, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

আরও

পাঠকের মন্তব্য

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি


Top