১৮৪৮ সাল, ভারতবর্ষে তখনো চলছে কোম্পানি শাসন। দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয় এক শিশু। শিল্পমনা পরিবারে বেড়ে উঠতে উঠতে ৭ বছর বয়সেই নিজের আঁকিয়ে পরিচয় প্রতিষ্ঠা করে ফেলে শিশুটি। ঘরের দেয়ালগুলো পশুপাখি আর মানুষের ছবিতে ভরে উঠতে থাকে। ঘরের সবাই শিশুটির দস্যিপনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও কাকার প্রশ্রয়ে শিশুটি এগিয়ে যেতে থাকে রঙতুলির পথ ধরে। ভারতবর্ষের ইতিহাসের অন্যতম সেরা চিত্রকর রাজা রবি বর্মার জীবনের শুরুটা এভাবেই।
পরাধীন ভারতে পাশ্চাত্যের প্রভাব এড়িয়ে স্বদেশের নিজস্বতাকে তেলরঙে ফুটিয়ে তুলতেন রাজা রবি বর্মা। ভারতীয়দের জীবনদর্শন, যাপন, সংস্কৃতি বুঝতে তিনি চষে বেড়িয়েছেন পুরো ভারতবর্ষ। শাস্ত্রীয় সংগীত, লোকগান, কথাকলি নৃত্য এবং সাহিত্য থেকে পাওয়া জ্ঞান আর বোধ ঢেলে দিয়েছেন ক্যানভাসে। তিনি মনে করতেন, চিত্রকর্ম হতে হবে সকলের জন্য। তাই আপামর জনতার কাছে নিজের আঁকা ছবি যাতে পৌঁছে যায় তাই ১৮৯৪ সালে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করে নিজের ছবিগুলোর প্রতিলিপি তৈরি শুরু করেন। বাংলাসহ পুরো ভারতে জনপ্রিয় হয় তার ছবিগুলো।
রাজা রবি বর্মা চোখে দেখা সৌন্দর্যকে পুরোপুরি তুলে আনতে চাইতেন ক্যানভাসে। আর তা করতে গিয়ে এঁকেছেন অনিন্দ্যসুন্দর সব পোর্ট্রেট। ভারতীয় নারীর অনন্য রূপ তার মতো করে খুব মানুষই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। রাজা রবি বর্মার আঁকা তেমনই কিছু পোর্ট্রেটকে নতুন রূপ দিয়েছেন ভারতীয় ফ্যাশন ফটোগ্রাফার ভেংকেট রাম। ঠিক রাজা রবি বর্মার ছবির মতো করে বর্তমানের নারীরা সেজেছেন সেকালের সাজে। মডেল হিসেবে যেমন শ্রুতি হাসান, সামান্থা আক্কিনেনি, রামইয়া কৃষ্ণানের মতো দক্ষিণের জনপ্রিয় নায়িকা ও মডেলরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন গ্ল্যামারজগতের বাইরের নারীরাও। নতুন রূপে পুরনো ছবিগুলো আজ থাকছে eআরকির পাঠকদের জন্য।
#১
#২
#৩
#৪
#৫
#৬
#৭
#৮
#৯
#১০
#১১
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন