শেষ হলো বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ। তেমন বড় কোনো ঝামেলা না হওয়ার পাশাপাশি অবরোধের দিনগুলোতে আয়েশ করেই সিগন্যালবিহীন জীবন কাটিয়েছেন নিয়মিত বিজয় সরণি পার হওয়া চাকরীজীবীরা। তবে কাল থেকে অবরোধ নেই জানার পর থেকেই হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন নিয়মিত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যাত্রীদের একাংশ।
এমনই একজন আমাদের বলেন, ‘স্বপ্নের মতো কয়েকটা দিন কাটালাম। এ কয়দিন মনে হয়নি বিজয় সরনি সিগন্যাল পার হচ্ছি, মনে হয়েছে ইউরোপের সিগন্যাল পার করলাম। সিগন্যালবিহীন এত সুখ পেয়ে মনে হচ্ছিলো এভাবেই কেটে যাবে জীবন কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস দেখেন, কাল থেকে আবার সেই সিগন্যালের জ্যাম।’
আরেক চাকরীজীবী কাঁদতে কাঁদতে আমাদের বলেন, ‘এত সুখ আমাদের কপালে সইলো না। প্রথম দিন তো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এক চান্সে বিজয় সরণি সিগন্যাল পার হতে পারার জন্য গিনেস বুকে আমাদের নাম তোলার জন্য জোর দাবি জানাই।’
চাকরীজীবীদের কেউ কেউ শহরের বিজয় সরনি সিগন্যাল অংশটুকুকে সারাবছর অবরোধের আওতাভুক্ত রাখার দাবিও জানান। তাদের কথা ভেবে হলেও যাতে বিএনপি যাতে এখানে প্রতিদিন অবরোধ দিয়ে রাখে। দরকার হলে মাঝেমধ্যে তারা নিজেরাই টায়ার পুড়িয়ে দেবেন। কিন্তু এক চান্সে সিগন্যাল পার হওয়ার সুখ তাদের কাছে বিয়ের প্রথম রাতের থেকেও সুখকর বলে জানান কেউ কেউ।