কয়লা সংকটে গতকাল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত দেওয়ার পরেও কয়লা কেনার টাকা কেন বাকি রয়ে গেলো সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা কাটতে না কাটতেই এলো নতুন ঘোষণা। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে যাতে পুনরায় দ্রুত চালু করা যায়, সেজন্য নিষিদ্ধ করা হলো কয়লা দিয়ে দাঁত মাজা। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আবার চালু না হওয়া পর্যন্ত কয়লা দিয়ে কেউ দাঁত মাজলেই তাকে করা হবে জরিমানা। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্রের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে দেখা যায় তিনি নিজেই কয়লা দিয়ে দাঁত মাজছেন এবং আমাদের প্রতিবেদককে দেখামাত্রই তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।
পরে অন্য এক কর্মকর্তা আমাদের বলেন, ‘দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে আমাদের সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। সবার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে লোডশেডিংকে প্রতিহত করতে আগামী কয়েকটা দিন সবাই কয়লা দিয়ে দাঁত মাজা থেকে বিরত থাকি এবং ঘরে থাকা কয়লাগুলো পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জমা দিয়ে দেই।‘
অন্যদিকে কয়লা দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজেন এমন একজন আমাদের বলেন, ‘ব্যাপারটা দুঃখজনক। বিল তো নিয়মিত দিলাম, এখন নাকি কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ পাবো না! তার উপর আমার ভাগের কয়লাও নাকি দিয়ে দিতে হবে। বিলও আমরা দিবো, কয়লাও আমরা দিবো, এভাবে কী হয় নাকি বলেন? দিনের বেলা ভোট দিতে না পারাটাও মানা যায় কিন্তু কয়লা দিয়ে দাঁত না মাজতে পারলে তো আমার জীবনই বৃথা।‘
