শুক্রবার ইদ সালামি সংঘের সভাকক্ষে জাতীয় বিকাশ সালামি নির্ধারণ কমিটির কাল্পনিক সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের সালামির হার নির্ধারণ করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সালামি নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও কমিটি মেম্বাররা।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শাড়ি বা পাঞ্জাবির মাধ্যমে সালামি আদায় করলে তা গণ্য বলে ধার্য করা হবে না, শুধুমাত্র সালামি বিকাশ করলে তা ধার্য হবে। অথবা যেকোনো উপহারের বাজারমূল্য বিকাশ করতে হবে। যাতে করে সালামি গ্রহীতা নিজ ইচ্ছানুযায়ী প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করতে পারেন। কারণ পূর্বের বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ৯৮% ইদ গিফট সাইজে মেলে না।
এই ব্যাপারে কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সালামির পরিমাণ নিয়ে প্রতিবারই বড়দের সাথে ছোটদের গ্যাঞ্জাম একদম নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার তাই গ্যাঞ্জাম এড়াতে আগেভাগেই সালামির পরিমাণ কত থেকে কত পর্যন্ত হতে পারে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতীয় ইদ সালামি কমিটি।‘
অন্যদিকে কমিটির তরফ থেকে সহ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইদের সময়ে সালামি নিয়ে ফাঁকিবাজির বিষয়টা আমাদেরও চোখে পড়েছে। সেজন্যই এইবার একটা নিয়মনীতির মধ্যে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হয়ে সালামি প্রত্যাশীরা ট্রমায় না চলে যান। এবং আগামী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই অ্যামাউন্ট বহাল থাকবে।’
এই ঘটনায় ইদ সালামি লাভার কমিটি আনন্দ প্রকাশ করে কিছু কিছু এলাকায় মিছিল বের করেছে বলে জানিয়েছেন আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা। তাদের অনেককেই মাইকে মাইকে ‘ইদের চাঁদ আকাশে, সালামি দিন বিকাশ-এ’ স্লোগানে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গিয়েছে।