একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথম সারির এক বিশিষ্ট কবি নির্মলেন্দু গুণ। কখনও কখনও তাকে ডাকা হয় ‘কবিদের কবি’ নামেও। এর আগে বেশ কয়েকবার আলোচনায় এলেও এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন পদক বিক্রির বিনিময়ে রানার তরল গ্যাস কেনার পোস্ট দিয়ে। গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি সরকারকে এ ব্যাপারে আল্টিমেটামও দিয়েছেন।
কবির দাবী, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা উচিৎ। তার এই বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেছে ফেসবুকে প্রবীণ, নবীন, স্থায়ী অস্থায়ী, দেশী বিদেশী প্রায় সকল সদস্য। এই মুহুর্তে সবাই অপেক্ষা করছেন নির্মলেন্দু গুণের পরবর্তী কবিতার বই ‘তেল ও গ্যাস' এর জন্য।
আসাদ নামের এক তরুণ বলেন, ‘পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনেরা আমাদের গৌরব। তাদের জন্য শুধু তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ফিক্স করলেই চলবে না। গুণীজনদের বংশের সবাইকে আগামী ২০০ বছর এই বাড়তি সুবিধা দিতে হবে। এক মাসের মধ্যে তার থ্রেটে কোনো কাজ না হলে ইদের পর আমরা ‘আম জনতা’ তার তথা গুণীজনদের এবং তাদের বংশের সবার সম্পত্তি (গ্যাস ও বিদ্যুৎ) ফিরে পাবার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবো।’
তবে এতটুকুই চেয়েও ক্ষান্ত নন সবাই। কেউ প্রস্তাব করছেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের বংশধরদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% সংরক্ষিত কোটা রাখার জন্য।
এই মুহুর্তে তার আসন্ন কবিতার বই 'তেল ও গ্যাস' নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তবে জামাল (৫১) নামের এক তরুণ কবি বলেন, ‘তেল ও গ্যাস' নামটি কবিতার মতো শোনায় না। বরং এই অভিজ্ঞতার আলোকে গুণ বাবু যদি ‘গ্যাস,এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ বা ‘তোমার গ্যাস এতো লাল কেনো’ জাতীয় টাইটেল দেন, সেটা হিট খাবে বেশি।
তবে পদক বিক্রির মাধ্যমে আসলেই নির্মলেন্দু গুণ গ্যাস পাবেন কি-না এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্বর্ণকার বিজয় মালাকার। তিনি বলেন,‘পদককে ম্যাটারিয়ালিস্টিক জিনিস ধরে খুব বেশিদূর আগানো যাবে না কি-না বলতে পারছি না। ইমিটেশন হইলে কী করবেন? বরং ‘পদকের বিনিময়ে গ্যাস’ (পবিগ্যা) নামের একটি প্রজেক্ট শুরু করা যেতে পারে..’