দুর্গাপূজা নিয়ে সুজয়দা এবং পুঁচকির বিজ্ঞাপনটা নজর কেড়েছিলো কম-বেশি সবার। সেই থেকে দুর্গাপূজার নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় সুজয়দার কথা। প্রত্যেক নারীর জীবনেই একটি সুন্দর স্বপ্নের নাম সুজয়দা। এমনকি প্রত্যেক সুজয়দার জীবনের সুন্দরতম মানবীর রূপক ‘পুঁচকি’। তবে সবার জীবনেই কি আর সুজয় দা বা পুঁচকি থাকে? মজার ব্যাপার হলো, পুঁচকির খোঁজে দুর্গাপূজার আগে নিজের নাম পরিবর্তন করে সুজয়দা রাখছেন অসংখ্য তরুণ।
এ ব্যাপারে স্বরুপ সাহা (২৪) নামের এক তরুণ বলেন, ‘গত ২৪ বছর থেকে সিঙ্গেল আছি। প্রত্যেক পুজোয় মায়ের কাছে বলি পরবর্তী পূজোটা যেন আর একা কাটাতে না হয়, অথচ কোনো পরিবর্তনই আসছে না। তাই এবার পূজো আসার আগেই আইডির নাম চেঞ্জ করে সুজয় সাহা রেখেছি। একটা শেষ চেষ্টা।‘
শুধু স্বরুপই নয়, তার মতো আরও অসংখ্য উঠতি তরুণ একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। এছাড়া তারা সম্মিলিত ভাবে ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছেন 'সুজয়দা বলছি' নামে। পূজা যত ঘনিয়ে আসছে, নানা বয়সী পুঁচকিদের এখানে যোগ দেবার হারও বাড়ছে।
সিঙ্গেল তরুণীরাও এদিক থেকে কম বিপদে নেই। মনীশা চক্রবর্তী নামের এক তরুণী বলেন, ‘আমার প্রেম ট্রেম এতো পছন্দ না। কিন্তু পূজা আসলেই মনে হয়,আহা,যদি একটা সুজয়দা থাকতো! তবে আমি শুনেছি, এবার পূজোয় সুজয়দা ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মানে উৎসবের সময়টাতে আমরা একসাথে পুজো দিবো, ছবি তুলবো, সুন্দর সুন্দর টিকটক ভিডিও করবো। পরবর্তীতে আমাদের আর যোগাযোগ থাকবে না। এরকম ঝামেলাবিহীন সুজয়দার অপেক্ষাতেই ছিলাম। মনে হচ্ছে সে আশা পূরণ হলো... ’
শুধু তাই নয়, ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরের কাছে এক ঝাক তরুণ তরুণী সামনাসামনি সাক্ষাৎ করবেন আগামীকাল দুপুর চারটা থেকে। মজার ব্যাপার হলো, এখানে কারো কোনো আসল নাম নেই। ‘পুঁচকি-১,২,৩,৪,৫...’ এভাবে করেই সবার নামকরণ হবে। প্রত্যেকের কপালেই নিজস্ব নাম্বার লেখা থাকবে। সুজয়দাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। পরবর্তীতে এখান থেকে যার যাকে পছন্দ হয় এই পূজো তারা একসাথে কাটাতে পারবে। চাইলে তারা বাকিজীবনও একসাথে কাটাতে পারেন। এ ব্যাপারে বিশেষ কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।