এক লাফে ডিমের ডজন ৫০ টাকা বেড়ে এখন ১৫০ টাকা। শুধু ডিমই নয়, বাজারের আগুন জ্বলছে প্রতিটি জিনিসেই। দ্রবমূল্যের এই উর্ধ্বগতি সামাল দিতে না পেরে মানুষ এখন দিশেহারা। উপায় খুঁজতে চারদিকে হন্যে হতে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে শেষ সূত্র অনুযায়ী, এবার শেয়ারে ডিম কেনা শিখতে কলকাতা যেতে চায় জনগণ।
এ ব্যাপারে বিপুল উদ্দিন (৪৫) নামক এক চাকুরীজীবী জানান, ‘আগে থেকেই এইটা শুরু করা উচিত ছিলো। এখন তো দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, না করে উপায় নাই। তাই সরকারি উদ্যোগে প্রায় এক হাজার লোক কলকাতা যাচ্ছি শেয়ারে ডিম কেনা শিখতে...’ তবে এ নিয়ে ভীষণ রুষ্ট বাংলার গৃহিণীরা। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম ভাগাভাগি নিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় চুলোচুলির ঘটনাও জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহিণী জানান, ‘পাশের বাসার ভাবী গতকালকে ডিমের কুসুম নিছে, আমি সাদা অংশ নিছি। আজকে আমার কুসুম নেওয়ার ডেট, কিন্তু উনি কুসুম ছাড়বে না। এইজন্য একটু মারামারি লাগছে, বিশেষ কিছু না...’ তিনি আরও বলেন, শুধু ডিমই নয়, কাঁচামরিচ, লেবু, আলু, সবকিছুই অর্ধেক অর্ধেক করে শেয়ার করছেন তারা।
তবে এ ব্যাপারে গৃহকর্তারা বেশিরভাগই ভিন্নমত পোষণ করছেন। জসীম নামের এক গৃহস্থ বলেন, ‘শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং। বেহেশতে বসে শুধু নিজের কথা ভাবলে হবে না। আশেপাশের মানুষ খাচ্ছে কি-না, সুখে আছে কি-না সেগুলাও দেখতে। আমি তো প্রায়ই পাশের বাসার সবিতা ভাবীর সাথে শেয়ার করি, সুখে আছে কি-না খেয়াল রাখি....'
এদিকে ডিমের আকাশছোঁয়া দামে বেশ খুশিতে আছে রিমান্ডে থাকা লোকজন। গোপন সূত্রে জানা যায়, সকাল বিকাল পার্টিও করছেন তারা। শাহেদ নামে রিমান্ডে থাকা এক লোক জানান, ‘আসলেই বেহেশতে আছি। আগে দিনে ১৪ বার ডিম দিতো, ওইটা কমে এখন ৬ বার হইছে। মোমেন সাহেব ভুল কথা বলেন নাই...রিয়েল ফিলটা পাইতেছি এখন তবে একই ডিম দিয়ে সবাইকে থেরাপি দেয় কি-না এই বিষয়ে এখনও আমরা নিশ্চিত না....’
কলকাতা কবে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে আসন্ন ট্রেনিং এ অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ১০০০ কোটি টাকা বাজেট চেয়েছি। আমাদের যে বস বাজেট পাশ করবেন তিনি আবার গিয়েছেন নেদারল্যান্ডসে গাছে পানি দেওয়া শিখতে। উনি আসলেই আমরা যেতে পারবো....’