‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’—এই গানে ভিডিও না করলে বাস ও ট্রেন থেকে নামিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ

৬৭৩ পঠিত ... ২১:৫৮, মে ০১, ২০২২

hopno-jabe-bari

মিলন মাহমুদের গাওয়া ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ গানটির সাথে বাংলাদেশের কর্মজীবী মানুষের নাড়ীর টান গড়ে উঠেছে আরও আগেই। বিশেষ করে ইদের ছুটিতে অনেকদিন পর বাড়ি যাবার সময় যে অনুভূতি,তার অনেকখানি ঘ্রাণ লেগে আছে এ গানে। এছাড়াও বাড়ি যাবার নানা ভিডিওর সাথে এডিট করে এ গানটিকে ব্যবহার করে থাকেন অনেক মানুষ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গানটিকে জাতীয় সম্মাননা পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ সরকার, এমনটিই জানা  গেছে এক অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে। কার্যক্রমের ফলো-আপ হিসেবে এই ছুটিতে বাড়ি যাবার অংশ হিসেবে এই গানে ভিডিও না করলে বাস ও ট্রেন থেকে নামিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ, জানিয়েছেন eআরকি'র প্রতিবেদন টিম।

এ ব্যাপারে রাজীবুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী যাত্রী ঘটনার বিশদ বর্ণনা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। তিনি বলেন, ’প্রত্যেকবার ইদের সময় হয় টিকেটের দাম বাড়ায়, বাসে হুড়াহুড়ি কইরা উঠার পর কড়াকড়ি টিকিট চেক হয়, বেশি হইলে পকেট কাটে, এগুলাই তো। কিন্তু ভাইসাব, এইবার কী ঘটছে বিশ্বাস করবেন না। বাসে উইঠা দেখি সবাই ভিডিও করতেছে, তাজ্জব ব্যাপার। একটু পরে টিকেটের বদলে সুপারভাইজার আইসা বলে, ভিডিও দেখান। আমি তো বুঝি নাই কীসের ভিডিও। পরে বুঝলাম কী গানের সাথে নাকি ভিডিও করার নিয়ম। হেইডা তো আমি আগে জানি না। পরে তারা আমার পকেট থেকে খুঁইজা দেখে আমার কোনো স্মার্ট ফোন নাই। সাথেসাথে মাইর। এমুন মাইর ভাইসাব,সাথে সাথে বাস থাইকা নামায়া দিছে।‘ এই বলে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না শুরু করেন রাজীব। 

তবে আরও বেশ ক'জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ নিয়মটি আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। শুধু তাই নয়,গাড়ি ছাড়ার পূর্বে যাত্রীদের দিয়ে একটি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় । তারা সম্মিলিত কণ্ঠে বলেছেন , ’ আমি শপথ করিতেছি যে, যাত্রাপথে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’ গানের সহিত ভিডিও করিয়া এই যাত্রার এবং গানটির ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখিব। এছাড়াও নিজ নিজ সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি আপলোড করিয়া বাস ও ট্রেন মালিক সমিতির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করিব। যদি ইহার ব্যত্যয় করি, তা হইলে মালিক সমিতি প্রদানকৃত যে কোনো শাস্তি মাথা পাতিয়া লইবো । আমিন!’

দুর্ভাগ্যক্রমে রাজীব দেরি করে বাসে ওঠায় এ সম্পর্কে জানতে পারেননি এবং তার পরিনাম ভোগ করতে হয়েছে।  

তবে ট্রেন পরিদর্শনের সময় কারো মুখেই কোনো অভিযোগ শোনা যায়নি । বরং যাত্রীদের বেশ উৎফুল্ল ও আনন্দিত মনে হয়েছে। জানা যায়, ট্রেন যাত্রীদের বেশিরভাগই টিকটকার, ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার এবং তাদের সবাই নিয়মিত লাইভে যান। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত তাদের কাছে ইনফ্লুয়েন্সার রি-ইউনিয়নের মতোই, এতে কোনো হয়রানি তো নয়-ই বরং তাদের ভিউ বাড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।   

পরিদর্শক দল ফেরত আসার সময় বগির এক কোনায় দেখতে পান বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ইনফ্লুয়েন্সার ও হার্ট থ্রব তৌহিদ আফ্রিদিকে। একমনে খাতার উপর খসখস করে কী যেন লিখেই চলছেন। তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি থামিয়ে দিয়ে বলেন ,’শশশশশ! কথা বলে মনোযোগ নষ্ট করবেন না।’ ‘ভ্রমণযাত্রা উইথ তৌহিদ আফ্রিদি’ পার্ট ২ লিখছি। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে কথা হবে…।’

৬৭৩ পঠিত ... ২১:৫৮, মে ০১, ২০২২

Top