অনেকদিন ধরেই কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন করার নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। গত পরশু পুলিশ দেয়াল তোলার কাজও শুরু করেছে। সেই দেয়াল তোলার কাজ ভিডিও করে ও খেলার মাঠে থানা ভবন তৈরির প্রতিবাদ করায় সমাজ সংস্কার কর্মী সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলে প্রিয়াংশুকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১২ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার পর মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠটিতে ওই এলাকার কিশোর-কিশোরীরা খেলাধুলা করতো। ইদের নামাজ, জানাজাও পড়া হতো। যদিও কলাবাগান থানা ভবনের জন্য অন্য জায়গা দেখতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে পুলিশ সামনের দিকে এমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে আর প্রতিবাদ করবে না বলে জানায় ঢাকার অনেক কিশোর-কিশোরী। বিনিময়ে থানাতেই খেলাধুলার সুযোগ চায় তারা।
ঢাকার এক কিশোর নিজের ফেক আইডি থেকে eআরকিকে বলেন, ‘ওনারা যেহেতু মাঠের চেয়ে থানাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন সেহেতু থানা হোক। আমরা থানাতেই খেলাধুলা করতে চাই। ক্রিকেট, ফুটবল নিশ্চয়ই খেলা যাবে। তাছাড়া ইনডোর গেমসও কিন্তু খেলা যায়। চোর-পুলিশ খেলাও মজা করে খেলা যাবে।‘
প্রিয়াংশুর মতো কিশোরদের বিনা কারণে থানায় নিয়ে গেলে ওরা আতঙ্কিত না হয়ে খেলাধুলা করতে পারবে বলেও জানায় তারা। তারা বলে, ‘কখন কী নিয়া আন্দোলন করা লাগে বলা তো যায় না। এরপর তো ওনারা ধরে নিয়ে যাবে। তখন থানায় খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকলে আতঙ্কিত না হয়ে খেলাধুলা করতে পারবো।‘
অন্য একজন বলেন, ‘সঠিক মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা অত্যন্ত উপকারি। দুপক্ষ মিলেই খেললাম। শিখলাম, খেলাধুলা করলাম।‘
রাজধানির আরমানিটোলা খেলার মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা করা এক কিশোর বলেন, ‘ওনারা আমাদের মাঠটাও নিতে পারে। এখানে অন্তত ৪-৫ টা থানা ভবন করা যাবে।‘
বি.দ্র: eআরকিতে প্রকাশিত সকল সঙবাদই কাল্পনিক। এতে বিশ্বাস করবেন নাকি করবেন না, সেটা সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভরশীল।