ঢাকা চট্টগ্রাম রুমের ঢাকার ভেতরও কুমিল্লা চায় ঢাকাবাসী। দাবীটি তোলেন ধানমন্ডি থেকে গুলশান রুটে যাতায়াত করা ঢাকাবাসী। এরপর দাবীটির সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন মতিঝিল-মিরপুর ও এয়ারপোর্ট-মতিঝিল রুটে যাতায়াত করা যাত্রীরাও।
দাবীর পক্ষে যুক্তি দিয়ে একজন বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম যাওয়ার সময়ের দূরত্বের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় ধানমন্ডি-গুলশানসহ অন্যান্য রুটগুলো। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসতে এখন ৬-৫ ঘণ্টা লাগে। কখনো কখনো ৪ ঘণ্টায়ও চলে আসা যায়। কিন্তু ঢাকার ভেতরের এই রুটগুলোয় কখনও কখনও ৮ ঘণ্টাও লেগে যায়। বুঝতেই পারছেন, এই রুটগুলোর মাঝে একটি কুমিল্লার গুরুত্ব কত অপরিসীম!’
ধানমন্ডি থেকে গুলশানে অফিস করা একজন বলেন, ‘প্রতিদিন অফিসে গেলে অফিসের ওয়াশরুমের সামনে লম্বা লাইন দেখি। সেই লাইনে গিয়ে দাঁড়াই। সবারই চাপ থাকে। পুরাই একটা উত্তেজনাপূর্ণ সময়। ঢাকার মধ্যে একটা কুমিল্লা থাকলে অফিসের ওয়াশরুমের উপর এই চাপটা কমে। তাছাড়া ব্লাডারের সুস্থতা নিয়েও তো ভাবা উচিত।’
ঢাকার মধ্যে কোথায় কুমিল্লা হলে সুবিধা হয় জানতে চাইলে দাবীটির পক্ষের একজন বলেন, ‘চাইলেই সব রুটের জন্য আলাদা আলাদা করা যায়। কিন্তু বিজয় সরণি বা মানিকমিয়া অ্যাভিনিউর আশেপাশে করলে সব রুটের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে।‘
অনেকে অবশ্য বিজয় সরণির জ্যামের জন্য আলাদা একটা কুমিল্লা করার দাবী তোলেন। এমনই একজন বলেন, ‘বিজয় সরণির জ্যামই কখনও কখনও ৩-৪ ঘণ্টা খেয়ে ফেলে। এই সময়ে বাস থেকে নেমে তো আর মানিকমিয়ায় যাওয়া যাবে না? গেলেও দেখা যাবে পুরো পথটাই কুমিল্লা হয়ে গেছে।’
তবে ভিআইপি মুভমেন্টের জন্য পুরো ঢাকা শহরেই ১০০ মিটার পর পর কুমিল্লা স্থাপনের প্রয়োজন আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আছে মানে? ভিআইপি মুভমেন্টের জন্য তো প্রতিটা গাড়িতে গাড়িতেই কুমিল্লা স্থাপন করা উচিৎ!’
