একমাসে সহকর্মীদের ৩১২টি লাইটার মেরে গিনেজ রেকর্ড করলেন মাসুদ

৩১৪ পঠিত ... ১৭:৪৪, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২

lighter thumb

বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য অর্জন নিয়ে এসেছে মাসুদ নামের এক তরুণ চাকরিজীবী। চাকরির পাশাপাশি শখের বসে সহকর্মীদের লাইটার মেরে দেয়ার কাজ করতেন তিনি। সহকর্মীদের কাছে লাইটারখোর মাসুদ নামেও পরিচিত এই যুবক।

জানা যায়, একমাসে ৩১২টি লাইটার গায়েব করে দিয়েছেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু করলো আজ ২২ তারিখ সকালে অফিসে এসেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন এই তরুণ।

এমন অসাধ্য কীভাবে সম্ভব করলেন? মাসুদের কাছে জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, ‘অসাধ্যের কিছু নেই। আমার কাজই এটা। অফিসের যে কাজ ওটা তো আমি পার্টটাইম হিসেবে করি। ফুলটাইমে লাইটার মারি। আপনার কাছে লাইটার আছে? দেন একটা বিড়ি ধরাই। চিন্তা কইরেন না, মারবো না।’

শুরুটা কীভাবে জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি লাইটার মারি। মনে আছে, জীবনে প্রথম লাইটার মেরেছিলাম আমার বাপের। তখনো বিড়ি খাই না। কিন্তু লাইটারের প্রতি আলাদা একটা দুর্বলতা ছিলো। ক্যামনে মারছি সেটা মনে নাই, তবে বাবা লাইটার খুঁজে পাচ্ছিলো না। পরে আমার পকেটে পাইছে।’

মাসুদের স্বপ্ন ভবিষ্যতে একটা লাইটার মিউজিয়াম দেয়ার। এই পর্যন্ত মাসুদের সংগ্রহে ১০ হাজারের মত লাইটার আছে। সবই মেরে দেয়া। নানান কালারের এইসব লাইটার মাসুদের প্যান্টের পকেটে সাজানো গোছানো আছে। মাসুদ বলেন, ‘একটা লাইটার মানে আসলে একটা লাইটার না। প্রতিটি লাইটারের এক একটি গল্প রয়েছে। কার কাছে ছিলো, কবে ছিলো, কীভাবে ছিলো, কয়জন এই লাইটার দিয়ে বিড়ি ধরাইছে। আমি এই গল্পগুলো জমাই।’

কাজটি কীভাবে করেন? জানতে চাইলে মাসুদ  বলেন, ‘ওরা আসলে আমার সন্তানের মত। ওদের সাথে আমার একটা আত্মিক বন্ধন আছে। যে কারোর লাইটারই একবার পকেট থেকে বের হলে সে আর ওই পকেটে যেতে চায় না। ক্যামনে জানি আমার পকেটে চলে আসে।’

৩১২টি লাইটার মেরে রেকর্ড করার জন্য মাসুদ কে স্বাগতম জানালে উত্তরে তিনি বলেন, ‘৩১২ না, ৩১৩’

আবারও অভিনন্দন জানিয়ে চলে আসার সময় আমাদের প্রতিনিধি নিজের পকেটে হাত দিয়ে অবাক হয়ে যান।’

৩১৪ পঠিত ... ১৭:৪৪, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২

Top