টুইস্টের পর টুইস্ট নিয়ে জনসাধারণের মাথা গুলিয়ে দিচ্ছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। চাদর তলা থেকে টাকা বের হচ্ছে, জায়েদ জিতে যাচ্ছে, আবার জিতে যাচ্ছে নিপুন, আবার জিতে যাচ্ছে জায়েদ। স্বাভাবিকভাবেই ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বাচনের দিকেই নজর ছিলো সারাবিশ্বের সিনেমা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। নজর এড়ায়নি চলচ্চিত্রের জাদুকর ক্রিস্টোফার নোলানেরও। এই নির্বাচনের টুইস্ট দেখে ইতোমধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে ক্রিস্টোফার নোলানকে স্কাইপিতে কল দেই আমরা। কল ধরলে দেখা যায় তিনি মাথায় সরিষার তেল মালিশ করছেন। কল রিসিভ করেই হন্তদন্ত হয়ে তিনি আমাদের বলেন, ‘খুবই বাজে অবস্থা। এই নির্বাচন দেখতে দেখতে মাথা আউলায়ে গেছে। সেজন্য মাথায় তেল-পানি দিচ্ছি। তবুও আমি হাল ছাড়ছি না। যত কষ্টই হোক এই সিনেমা আমি বানাবোই।’
মূল চরিত্রে কাকে রাখবেন? আমাদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছে ডিক্যাপ্রিওকে রাখতে। কিন্তু জায়েদের চরিত্রে আমার প্রথম পছন্দ আসলে জায়েদ। কিন্তু নির্বাচনের ব্যস্ততার জন্য ও সময় দিতে পারবে না জানি। সেক্ষেত্রে পছন্দ শাহরিয়ার নাজিম জয়। সেন্স অফ হিউমারের শুটিং এর পর কি উনি আমাকে সময় দিতে পারবেন? জানেন আপনারা কেউ?’
নোলানের সিনেমা বানানোর ঘোষণার পরপরই উল্লাসে ফেটে পড়ে এফডিসিসহ বাংলাদেশের আপামর জনতা। শিল্পী সমিতির অধিনায়ক eআরকি'কে বলেন, ‘মানুষ বাংলা সিনেমা দেখতে না চাইলে কী হবে? এই যে দেখেন, নির্বাচনের সিনেমা কিন্তু ঠিকই দেখতে চায়৷ হে হে হে। প্রতিবছর এরকম নির্বাচনের রিয়েল লাইফ সিনেমা যদি হলে দেখানো যায়, ব্যবসা কই উঠবে বুঝেতেছেন? এখন ক্রিস্টোফার নোলানও আমাদের নিয়ে সিনেমা বানাইতে চায়। এ আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার দিন....’
শুধু তাই নয়, নোলানের পাশাপাশি এই নির্বাচন নিয়ে সিনেমা বানাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আলফ্রেড হিচকক, স্ট্যানলি কুব্রিক, স্টিভেন স্পিয়েলবার্গ, এমনকি জাপানি পরিচালক আকিরা কুরুসাওয়াও! ব্যক্তিগত এক সাক্ষাৎকারে স্পিয়েলবার্গ বলেন, ‘নোলানের বস্তাপঁচা সিনেমা বাদ দেন তো। খালি প্যাচগোচ মাইরা একাকার কইরা ফেলে। আমাকে দেন, সহজ ভাষায় একটা সিনেমা বানাই....’
