শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়টি। বোঝা না গেলেও নিজের ভিসির গদি বাঁচাতে বেশ চিন্তিত থাকার কথা ভিসি ফরিদ উদ্দিনের। এমন কঠিন সময়ে ভিসি মহোদয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে নিখিল বাংলা আজীবন ভিসি সমিতি। নিজের অভিজ্ঞতার ঝাঁপি থেকে এমন সংকট নিরসনে ফরিদ উদ্দিনকে দিয়েছেন অমূল্য সব পরামর্শ।
এমন কঠিন সময়ে প্যানিক না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগরের ভিসি ফারজানা ইয়াসমিন। নিজের ফেক টিকটক আইডি থেকে তিনি বলেন, ‘জানি, সময়টা কঠিন। কিন্তু এই কঠিন সময়েই নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। আমার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে ভুলভাল বলেছেন ওসব বলা যাবে না। আমাকে তো আপনার পাশে দাঁড়াতে হবে। এইসব কথা পাবলিকলি না বলে ব্যক্তিগত আলাপে বইলেন। এখন মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহও দিয়েছেন নানাবিধ বুদ্ধি। নিজের কর্মকাণ্ডে কিছু নতুনত্ব এনে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নিজের এমন এক কর্মকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনটি ফেক আইডির একটি থেকে রাত ৩টায় তিনি বলেন, ‘দেখছেনই তো আমি রাত ৩টায় ক্লাস নিয়েছি। এমন ইনোভেটিভ ইনিশিয়েটিভ নিতে হবে। আপনি অবরুদ্ধ ভবনে বসে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আবেগকে ক্যাশ করতে পারেন। বেশি আবেগ ক্যাশ করাতে ওয়াশরুম থেকে ক্লাস নিতে পারলে ভালো। আপনি কতটা শিক্ষানুরাগী সেটা তো বুঝাতে হবে।’
পরামর্শের পাশাপাশি ফরিদউদ্দিনের ব্যর্থতা নিয়েও কথা বলেছেন ঢাবি ভিসি আক্তারুজ্জামান। নিজের ফেক আইডি থেকে তিনি বলেন, ‘উনি এত বছর ক্ষমতায় কিন্তু এখনো ১০ টাকায় চা-সিঙ্গারা-ছপ আনতে পারেনি। এখানেই ওনার ব্যর্থতা স্পষ্ট। আজ এমন একটা অর্জন থাকলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে উনি অনেক সাহায্য পেতেন। শুধু নিজের কথা ভাবলে তো হবে না, ছাত্রছাত্রীদের কথাও ভাবতে হবে। না ভাবলেও লোক দেখানোর জন্য কিছু করা উচিত ছিলো। এই যাত্রায় বেঁচে গেলে আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের নিয়েও একটু ভাববেন।’
ছাত্রলীগের উপর ভরসা হারানোকেও ফরিদউদ্দিনের এমন অবস্থার জন্য দায়ী করছেন অনেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভিসি বলেন, ‘আমাদেরকে তো টিকিয়ে রাখেই ওরা। এমন সন্তানতুল্য ছাত্রলীগের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে পুলিশ এনেই উনি ভুলটা করেছেন। ওদের ক্ষমতা কী কম নাকি! ওদেরকে জাস্ট কিছু হেলমেট কেনার টাকা দিলেই তো হতো।’