নগরবাসীর ফুল ম্যারাথন কমপ্লিট

৩১৬ পঠিত ... ১৭:৩৫, জানুয়ারি ১০, ২০২২

half-full-marathon

আজ অনন্য এক মাইলফলক অর্জন করেছে ঢাকাবাসী। ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি ম্যারাথনের মাধ্যমে এই অর্জন সম্পন্ন হয়। ৬০০ অংশগ্রহণকারী নিয়ে করা এই ম্যারাথনে আচানক অংশগ্রহণ করতে হয় ঢাকার সর্বসাধারণকে। প্রতিযোগীদের কেউ কেউ হাফ ম্যারাথন কমপ্লিট করলেও ঢাকাবাসী কমপ্লিট করেন একদম ফুল ফ্রি ম্যারাথন। ম্যারাথনের কারণে সৃষ্ট জ্যাম থেকে বাঁচার জন্য অনেকে হেঁটে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর মাধ্যমে এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন সাধারণ জনগণ।

কেউবা হেঁটে, কেউ দৌড়ে, কেউ হামাগুড়ি দিয়ে এই ম্যারাথন শেষ করেন।

ম্যারাথন শেষে অনুভূতি জানতে চাইলে মিরপুরের এক তরুণ গুলশানে নিজ অফিসের নিচে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘অনুভূতি চমৎকার। দৌড়াইতে আমার খারাপ লাগে না। শুধু ব্লেজারটা ঝামেলা করছে। পরেরবার যদি আগে থেকে বলে রাখে তাহলে আমরাও হাফপ্যান্ট পরে বের হতে পারি।‘    

ঢাকার বুকে ম্যারাথনে এমন লাখ লাখ মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো দেখার মতো। স্পোর্টস কস্টিউমের পাশাপাশি কাউকে দেখা গেছে স্যুট-বুট পরে দৌড়াতে, কেউ বা দৌড়েছেন পাঞ্জাবি পরে, শার্ট ইন করেও দৌড়েছেন অনেকে। পুরো পৃথিবী হয়তো এর আগে এত কালারফুল ও বৈচিত্রময় ম্যারাথন দেখেনি। কর্পোরেট ড্রেসের ম্যারাথন হিসেবেও এই ম্যারাথন বিশ্বে প্রথম।

তবে সবাই হেঁটে বা দৌড়ে এই ম্যারাথন শেষ করতে পারেননি। কেউ কেউ করেছেন ফাঁকিবাজি। অবশ্য তা স্বীকারও করেছেন তারা। এমনই এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লজ্জায় লাল হয়ে বলেন, ‘ভাই, একটু ফাঁকিবাজি করছি। প্রথমে বাসে উঠছি, এরপর হাঁটছি, এরপর উঠলাম রিক্সায়, এরপর আরো একটু হাঁটছি। এরপর রিক্সায় করে অফিসে আসছি। এভাবে ফাঁকিবাজি করায় খারাপ লাগতেছে! মানুষ আবার কী ভাবে!’

যদিও এই কর্মকতার এমন কাণ্ডে বেশ খুশি হয়েছেন তার বস। পিঠ চাপড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘হার-জিত কিংবা ফাঁকিবাজি বড় বিষয় না, তুমি যে সময়মত অফিসে আসতে পারছো এটাই বড় বিষয়। এবার ২০ মিনিটের মধ্যে ক্লায়েন্টকে বাজেটটা মেইল করো। আমাকে সিসিতে রাইখো।’

তবে এসবের বাইরেও আছে ভিন্নমত। বনশ্রী থেকে কারওয়ানবাজার অফিস করতে আসা এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি কিছুদূর দৌড়ানোর পর হাতিরঝিল সাঁতরে পার হয়েছি। সাঁতরালে কী ম্যারাথনের কোনো অমর্যাদা হবে?’

৩১৬ পঠিত ... ১৭:৩৫, জানুয়ারি ১০, ২০২২

Top