সম্প্রতি বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সাথে ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহির  একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এই ক্লিপে মাহিয়া মাহিকে নানাবিধ অশালীন কথার পাশাপাশি ধর্ষণেরও হুমকি দেন৷ এর আগে খালেদা জিয়ার নাতনি জায়মা রহমানকে নিয়েও চরম নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন তিনি৷      

এহেন কর্মকাণ্ডের পর এমন একজন ধর্ষকামী, নারীবিদ্বেষী ও বর্ণবিদ্বেষী প্রতিমন্ত্রীর বিষয়ে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা জানান বর্তমান সরকার৷ একটি ফেক আইডি থেকে মুরাদ হাসানকে পৃথিবীর ভয়ংকরতম শাস্তি বান্দরবনে বদলি করার ঘোষণা দেয়া হয়৷ একটি ভূয়া বিবৃতিতে দলটি বলেন, 'এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে একচুলও ছাড় নয়৷ ওকে শাস্তি থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না৷ যত দ্রুত সম্ভব আমরা শাস্তি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ঢাকা-কক্সসবাজার এয়ার টিকেট কাটা হয়েছে৷ কক্সসবাজার থেকে বান্দরবানের বাসের টিকেট কাটারও কাজ চলছে।' 

এমন শাস্তির খবর শুনে বেশ মুষড়ে পড়েছেন মুরাদ হাসান। ভয়ে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, 'শান্তি দিছে মেনে তো নিতে হবে। শুধু ওখানে একটা সোনারগাঁও ভিআইপি সুইট আর খাওয়ার জন্য টি-বোন স্টেক রাখবেন প্লিজ। এটা আমার অনুরোধ।'  

অনুরোধ রাখা না হলে কী করবেন? আমাদের এমন প্রশ্নে একদমই না রেগে তিনি বলেন, 'জানেনই তো!'

মুরাদের অনুরোধ রাখা হবে কী না? আমাদের এমন প্রশ্নে সরকারের এক ভূয়া কর্মকর্তা বলেন, 'অপরাধী হলেও তার এইসব পাওয়ার অধিকার আছে৷ তাছাড়া যথাযথ রিহ্যাবের পর সাধারণ মানুষ যখন ঘটনাটি ভুলে যাবে, তখন তো আবার ওকে ফিরিয়ে আনতে হবে! সেই লক্ষ্যে আমরা দ্রুতই সেখানে সোনারগাঁও হোটেল বানানোর ব্যবস্থা করতেছি। হাজার হোক, প্রজাতন্ত্রের সেবক তো…'    

এদিকে মুরাদ হাসানের আগমনে বেশ খুশি হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বখাটে পরিষদ। তাদের বর্তমান সভাপতি হিউং সাং (৩০) জানান , 'স্যার আসতেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো। এতদিন আমাদের যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে দলের উন্নতি হয় নাই। আশা করি এখন হবে....'